ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য আইপিএল ২০২৫ মাঝপথেই স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই। আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য টুর্নামেন্ট স্থগিত করা হলেও কোন সময়ে অনুষ্ঠিত হতে পারে বাকি ম্যাচগুলি, ইঙ্গিত মিলল তারও। আইপিএল ২০২৫ শেষ করার জ👍ন্য খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না বিসিসিআইকে, এমনটাই খবর।
আসলে আইপিএলের শেষেই ভারতীয় দলের ইংল্যান্ডে উড়ে যাওয়ার কথা। তার পরেই অগস্টে বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার সূচি র▨য়েছে টিম ইন্ডিয়ার। ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ🐬ে শেষে সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এশিয়া কাপ ২০২৫।
কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতির জন্যই ভারতীয় দল বাংলাদেশ সফরে যাবে না বলে খবর শোনা গিয়েছিল। শেষমেশ সেই খবর সত্যি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে ভারতীয় দল যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্রিকেট ম্যাচে মাঠে নামবে না, সেটাও আলাদা করে বলে দেও꧅য়ার প্রয়োজন হয় না। সুতরাং, এশিয়া কাপ ২০২৫-ও বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছিল।
বর্তমান পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপ বাতিল হওয়া কার্যত নিশ্চিত দেখাচ্ছে। বিসিসিআই অগস্ট-সেপ্টেম্বরের এই উইন্ডোতেই বাকি আইপিএল ম্যাচগুলি আয়োজন করতে তৎপর বলে খবর। অর্থাৎ, ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের পরেই পুনরায় শুরু হতে পারে আইপিএল🌜 ২০২৫।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এর আগে ২০২১ সালেও কার্যত একই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেবার করোনার জন্য আইপিএল স্থগিত করা হয় মাঝপথ🎃েই। সেবছরেও ইংল্যান্ড সফরের🐭 পরেই অনুষ্ঠিত হয় আইপিএলের দ্বিতীয়ার্ধ। ২০২১-এ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের দ্বিতীয়ার্ধ অনুষ্ঠিত হয় আমিরশাহিতে। ইংল্যান্ড থেকেই ভারতীয় ক্রিকেটাররা সরাসরি উড়ে যান আমিরশাহি।
আরও পড়ুন:- 🅰ভারতের এই ৩ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার সেনাবা𝄹হিনীতে যোগ দেন, একজন এয়ার ফোর্সের অফিসার
যদিও আইপিএলের দ্বিতীয়ার্ধের খুব কাছাকাছি সময়ে ছিল ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ টেস্ট। সেই টেস্ট শে🧔ষমেশ বাতিল হয়। করোনার জন্য সেবার ম্যাঞ্༒চেস্টার টেস্ট স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়। তবে অনেকেরই ধারণা ভারতীয় ক্রিকেটারদের আইপিএলে যোগ দেওয়ার তাড়া ছিল বলেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ টেস্টে মাঠে নামতে চাননি তাঁরা। ভারতীয় দল একবছর পরে ফের ইংল্যান্ডে গিয়ে সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ ম্যাচে মাঠে নামে।
দেশের মাটিতে নাকি বিদেশে?
যদিও সেবারের মতো আইপিএল ২০২৫-এর দ্বিতীয়ার্ধ বিদেশে আয়োজিত হবে কিনা, সেই বিষয়ে এখনও কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। ভারতে খেল🐷ার মতো পরিস্থিতি থাকলে বিদেশে টুর্নামেন্ট সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে হাঁটবে না বিসিসিআই। তবে নিতান্তই দেশের মাটিতে আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলি আয়োজন করা না গেলে আমিরশাহি, দক্ষিণ আফ্রিকা এমনকি ইংল্যান্ডের বিকল্পও খোলা থাকছে বিসিসিআইয়ের হাতে। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতির রেশ ততদিন জিইয়ে না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। সুতরাং, ভারতের মাটিতেই অনুষ্ঠিত হতে পারে টুর্নামেন্টের বাকিং অংশ।