Pakistan’s defeat against Afghanistan- পাকিস্তান ক্রিকেট দল ২০২৩ বিশ্বকাপে টানা তৃতীয় পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে। ২৩ অক্টোবরের খেলা পাকিস্তান বনাম আফগানিস্তান ম্যাচেও হেরেছে বাবর আজমের দল। এই ম্যাচে তারা ৮ উইকেটে পরাজিত হয়েছে। এর পর পাকিস্তানি টিম ম্যানেজমেন্ট ও খেলোয়াড়রা পাক দলের ভক্ত ও প্রাক্তন ক্রিকেটারদের নিশানায় পড়েছেন। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা বাবর আজমদের দলের তীব্র সমালোচনা করছেন। দলের ফিটনেস নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তন দলের অভিজ্ঞ ফাস্ট বোলার ওয়াসিম আক্রম।
প্রথমে ভারত, তারপর অস্ট্রেলিয়া এবং এখন আফগানিস্তানের কাছে টানা ম্যাচ হেরে সমস্যায় পড়েছে পাকিস্তানি দল। বর্তমানে বাবর আজমদের সেমিফাইনালের যাত্রা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। দলের এই হতাশাজনক পারফরম্যান্সে বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ওয়াসিম আক্রম। তিনি পাকিস্তানের টিভি চ্যানেলে এই বিষয়ে বলেন, ‘২৮০-২৯০ একটি বড় স্কোর। পাকিস্তানের ফিল্ডিং খুবই খারাপ ছিল, দেখুন খেলোয়াড়দের ফিটনেস লেভেল। এখন কি আমি ছেলেদের আলাদা করে নাম নেব? তাদের মধ্যে অনেকেই আছেন। আমাদের দলের দুই বছর ধরে ফিটনেস পরীক্ষা হয়নি। ছেলেদের মুখের দিকে তাকালে মনে হয় তারা আট কেজি করে খাচ্ছে, নিহারি খাচ্ছে। তাদের জন্য তো ফিটনেস পরীক্ষা আছে।’
ওয়াসিম আক্রম আরও বলেন, ‘আমরা দুই বছর ধরে বলছি ফিটনেস টেস্ট করাতে, কিন্তু এই সহজ কথাটা কেউ শোনে না। কিছু পরীক্ষাও হতে হবে। আপনি পেশাদারভাবে খেলছেন, আপনি তার জন্য অর্থও পাচ্ছেন। আপনি আপনার দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। ফিল্ডিং নির্ভর করে ফিটনেসের ওপর এবং সেখানে আমাদের অভাব রয়েছে।’
ম্যাচে কী হল?
ম্যাচের কথা বলতে গেলে এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। দলকে ভালো সূচনা এনে দেন ইমাম উল হক ও আবদুল্লাহ শফিক। দুজনে মিলে প্রথম উইকেটে ৫৬ রান যোগ করেন। ১১তম ওভারের প্রথম বলেই নূর আহমেদের শিকার হন ইমাম। ইমাম ১৭ রান করেন এবং আব্দুল্লাহ শফিক ৫৮ রান করেন ৫ চার ও ২ ছক্কায়। মাত্র ৮ রান করে বিদায় নেন রিজওয়ান। ক্যাপ্টেন বাবর এক প্রান্ত ধরে রেখে সিঙ্গেল-ডাবল দিয়ে স্কোর এগিয়ে নিয়ে যান। অন্যদিকে উল্টো দিক থেকে খুব একটা সাপোর্ট পাননি তিনি। ২৫ রান করে আউট হন সৌদ শাকিল। কিছুক্ষণ পর বাবরের উইকেটও নেন নূর আহমেদ। ৯২ বলে ৭৪ রান করেন পাকিস্তানি অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত শাদাব খান ও ইফতেখার আহমেদ ৪০-৪০ রানের ইনিংস খেলে দলের স্কোর ২৮২ রানে নিয়ে যান।
এরপর ব্যাট করার পালা ছিল আফগানিস্তানের। দলকে আক্রমণাত্মক সূচনা এনে দেন ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। গুরবাজকে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক দেখাচ্ছিল। শাহিন হোক, হাসান আলি হোক বা হ্যারিস রউফ প্রত্যেকের বিরুদ্ধে গুরবাজ সব বোলারকে সমানভাবে পরাজিত করেছেন। তিনি ইব্রাহিম জাদরানের কাছ থেকে ভালো সমর্থন পেয়েছেন, যিনি ক্রমাগত স্ট্রাইক ঘোরাতে থাকেন। তারা এক সঙ্গে ২১.১ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১৩০ রান তোলে। গুরবাজ ৫৩ বলে ৬৫ রান করে শাহিন আফ্রিদির বলে আউট হন। কিন্তু অন্য প্রান্তে থেকে যান জাদরান। রহমত শাহের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়েন তিনি। ১৯০ রানে হাসান আলির বলে আউট হন জাদরান। জাদরান ১১৩ বলে ৮৭ রান করেন। এর মধ্যে রয়েছে ১০টি চার।
এরপর ক্রিজে আসা হাশমতুল্লাহ শাহিদি অধিনায়কত্বের ইনিংস খেলে দলকে লক্ষ্যে নিয়ে যান রহমত শাহ। রহমত ৮৪ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৭৭ রান করেন। যেখানে ৪৫ বলে ৪৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন অধিনায়ক শাহিদি। আফগানিস্তান চার পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে এবং একই সংখ্যক পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তান চতুর্থ স্থানে রয়েছে।