মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সরকারের সামাজিক প্রকল্পের মাধ্যমে মেয়েদের জন্য নানা সুযোগ–সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন। যা আজ অত্যন্ত জনপ্রিয়। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্য সাথী থেকে সবুজসাথী–সহ নানা প্রকল্প। যাতে মহিলারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন। এই সব খবর জানেন গ্রামের ওই মহিলা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেসবুক
একদফাতে পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে গ্রামবাংলায়। আর সেদিনই এক কন্যাসন্তান জন্ম নিল মালদা জেলার গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে। এই কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ার পর মা ও সদ্যোজাত দু’জনেই সুস্থ আছে বলে খবর। তারপরই ভোট দিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে গাজোল হাসপাতালে চলে আসেন ওই প্রসূতির পরিবারের সদস্যরা। আলোচনা শুরু হয় মেয়ের নাম কি রাখা হবে? পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন কন্যাসন্তানের জন্ম—এই বিষয়টি মাথায় রেখে নাম রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তখন সবার কথা শুনে ওই শিশুকন্যার মা নাম রাখেন ‘মমতা’।
তখন থেকেই হইহই কাণ্ড শুরু হয়ে যায়। কারণ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, বাংলার আর কোনও পরিবার নিজের মেয়ের নাম রাখবেন না মমতা। সেখানে ঘটে গেল উলটপুরাণ। মা হয়ে নিজেই মেয়ের নাম রাখলেন মমতা। কিন্তু কেন এমন নাম রাখলেন? এই মহিলা সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন মেয়ের জন্ম হয়েছে। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেয়েদের জন্য কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার–সহ নানা প্রকল্প করেছেন। মেয়েদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দিদি। তাই তাঁর নামেই আমি নিজের সদ্যোজাত মেয়ের নাম রেখেছি মমতা।’
আর কী জানা যাচ্ছে? এই সদ্যজাত কন্যাসন্তানের মায়ের নাম লক্ষ্মী ভুঁইমালি। তাঁর বাপেবাড়ি গাজোলে। শ্বশুরবাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। তাঁর স্বামী পলাশ বৈশ্য রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। শুক্রবার দিন লক্ষ্মী গাজোল হাসপাতালে ভর্তি হন। শনিবার সকালে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। সদ্যোজাত কন্যার বাবা পলাশ বৈশ্য সংবাদমাধ্যমে লেন, ‘আমাদের গ্রামের সবাই বললেন, ভোটের দিন মেয়ের জন্ম হয়েছে। তাই একটা তাৎপর্যপূর্ণ নাম রাখো। তাই ওই নাম তার মা রেখেছে। আমি চাই সবার আশীর্বাদে আমার মেয়ে মমতা নাম নিয়েই বড় হোক।’
মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু জানেন না তাঁর নামে সদ্যজাত কন্যাসন্তানের নাম রাখা হয়েছে। তবে এই শিশুকন্যা ‘মমতা’কে নিয়ে এখন পাড়া–প্রতিবেশী মশগুল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সরকারের সামাজিক প্রকল্পের মাধ্যমে মেয়েদের জন্য নানা সুযোগ–সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন। যা আজ অত্যন্ত জনপ্রিয়। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্য সাথী থেকে সবুজসাথী–সহ নানা প্রকল্প। এখন গ্রামে লক্ষাধিক স্বনির্ভর মহিলা গোষ্ঠী তৈরি করেছেন তিনি। যাতে মহিলারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন। এই সব খবর জানেন গ্রামের ওই মহিলা। তাই নিজের মেয়ের নাম মমতা ছাড়া আর কিছু রাখার কথা ভাবতে পারেননি। বিরোধীরা যতই গালিগালাজ করুক এভাবেই আজ মমতাকে কুর্ণিশ জানাচ্ছেন গ্রামীণ মহিলারা।