রান্নাঘাটের ছোট্ট শিশু অস্মিকা ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছে তাঁর চিকিৎসার জন্য জীবনদায়ী ইঞ্জেকশনের প্রথম কিস্তি। বহু তারকা, রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সকলেই এগিয়ে এসে করেছিলেন সাহায্য।
অস্মিকার মতোই স্পাইনাল মাস্কুলার অ্যাট্রফিতে আক্রান্ত আদৃতি মণ্ডল। মাত্র ৫ মাস বয়েসেই ধরা পড়ে এই রোগটি। কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে ভর্তি রয়েছে আদৃতি এই মুহূর্তে। তাঁর চিকিৎসার খরচ জোগার করা প্রায় অসম্ভব মা-বাবার পক্ষে। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে স্বপ্ন ১৬ কোটি টাকা। এদিকে এই অর্থ না এলে, বাঁচানো যাবে না মেয়েকে। ফলত, সাধারণ মানুষের কাছে পেতেছেন হাত। আর্জি, অস্মিকার পাশে যেভাবে সবাই দাঁড়িয়েছিল, তেমনটাই করুক আদৃতির জন্যও।
তবে এরই মাঝে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে। যা শেয়ার করা হয়েছে Smart Graduate Chawala নামের পেজ থেকে। যেখানে আদৃতির মাকে আফশোস করে বলতে শোনা যাচ্ছে, তাঁর মেয়েকে দেখতে এসেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তবে একটা টাকাও যাননি দিয়ে। ছবি তুলে, নিজের নতুন সিনেমার প্রচার করেই বিদায় নিয়েছেন।
প্রায় বুজে আসা গলায় আদৃতির মা দাবি করছেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম মিঠুন চক্রবর্তী পাশে দাঁড়াবেন। উনি এলেন ঠিকই, কিন্তু কিছু দিলেন না। শুধু ছবি তুললেন আর নিজের নতুন ছবির কথা বলে চলে গেলেন।’ আর এই ভিডিও ভাইরাল হতেই অভিনেতার অমানবিকতায় ক্ষোভে ফেটে পড়ল নেটিজেনরা।
এই ভিডিয়োতে হাসপাতালের একটি বিলও দেখান আদৃতি মণ্ডলের মা। যেখানে দেখা যায়, হাসপাতালের কাছে বাকি রয়েছে ৬ লাখ ১৭ হাজার ৯৫০ টাকা। বলললে, ‘ওর রোজ প্রায় ১০ হাজার টাকা করে খরচ। আমরাগত দু তিন মাস ধরে কিছুই বিল দিতে পারছি না। হাসপতাল যদিও চাপ দেয় না। সাপোর্ট করে। কিন্তু বিল তো আমাদের মেটাতেই হবে।’
আদৃতির মা জানালেন ইমপ্যাক্ট গুরু সংস্থার মাধ্যমে ২১ লাখ টাকা উঠেছে। আর তাছাড়া বাড়িতে উঠেছে ১০ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৬ লাখ টাকার ওষুধ কিনেছেন তাঁরা। চিকিৎসার খরচ যেমন আছে, তেমনই আছে ইঞ্জেকশনের জন্য ৯ কোটি টাকা জমানোর চেষ্টা। সব মিলিয়ে মেয়েকে বাঁচাতে না পারার ভয়ে, কেড়েছে রাতের ঘুম।