অভিনেতা অঙ্গদ বেদী প্রকাশ্যে আনলেন তাঁর পাঁচ গার্লফ্রেন্ডের ছবি! কিন্তু তাঁর সেই পাঁচ বান্ধবী আদতে আর কেউ নন-তাঁর পত্নী নেহা ধুপিয়া। পাঁচটি ভিন্ন লুকে স্ত্রীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করে নেহার ট্রোলারদের জবাব দিতে চাইলেন অঙ্গদ। জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো রোডিজে এক মেয়ের পক্ষ ✤নিয়েছিলেন নেহা, যে তাঁর বয়ফ্রেন্ডকে ধো✱ঁকা দিয়েছে এবং এক সময়ে পাঁচজন আলাদা আলাদা ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে থেকেছে। যদিও পরে বিবৃতি জারি করে নেহা জানিয়েছিলেন মেয়েটির পক্ষে নয়, মেয়েদের বিরুদ্ধে হিংসার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন তিনি।
এদিন নেহার সঙ্গে পাঁচটি আলাদা আলাদা লুকের ছবি শেয়ার করে নিয়ে ইনস্টাগ্রামে অঙ্গদ লেখেন,' শোন আমার কথা.. এই দেখ আমার পাঁচটা গার্লফ্রেন্ড। যা করবার করে নে!! #itsmychoiceꦓ'
এই ছবিগুলোর কোনটা💙য় নেহার কপালে ভালোবাসায় মাখা চুম্বন করতে দেখা গেল অঙ্গদকে তো কোনও ছবিতে পার্টি লুকে পাওয়া গেল তাঁদের। কোনটায় ইন্ডিয়ান তো কোন ছবিতে ওয়েস্টার্ন পোশাকে তাক লাগালেন এই বলি কপল। ফিউসন পোশাকেও দেখা মিলেছে তাঁদের।
যদিও পত্নীর সমর্থনে এই পোস্ট করে নিজেই ট্রোলিংয়ের 🦋মুখে পড়লেন অঙ্গদ। কেউ কেউ অভিনেতাকে খোঁচা দিয়েছেন তাঁর প্রাক্তন বান্ধবী নোরা ফতেহিকে নিয়ে, কেউ জানতেই চꦗায় না অঙ্গদ কী রাজকার্য করতে চাইছে এই মাথামুণ্ডুহীন পোস্ট করে?
প্রসঙ্গত রোডিজে এক প্রতিযোগী জানায় তাঁর প্রেমিকা একসঙ্গে পাঁচটা বয়ফ্রেন্ড রাখছিল সে কথা জানতে পেরে সে প্রেমিকার সব বয়ফ্রেন্ডদের একত্রিত করে তাকে চড় মারে। এই ঘটনা জেনে নেহার রোষের মুখে পড়তে হয় সেই প্রতিযোগীকে। নেহা রীতিমতো সেই ছেলের তুলোধনা করে বলে, 'কেউ তোমাকে অধিকার দেয়নি মেয়েটির গায়ে হাত তোলবার। সে চাইলে একসঙ্গে পাঁচটা বয়ফ্রেন্ড রাখতেই পারে। সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। হয়ত সমস্যা তোমার মধ্যে আছে'!এরপর থেকেই টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে নেহার নামের পাশে ভুয়ো নারীবাদী, হিপোক্রিট, ফেক নানা তকমা সেঁটে দেওয়া হয়েছে। অবশেষে শনিবার গোটা বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী। টুইটারে একটি বিবৃতিতে অভিনেত্রী জানিয়েছেন,' গত পাঁচ বছর ধরে রোডিজ শোয়ের সঙ্গে আমি যুক্ত এবং এই শোয়ের ✅প্রতিটা মুহূর্ত আমাকে আনন্দ দেয়। আমি গোটা দেশ ঘুরতে পারি এর সুবাদে এবং দেশের নানান প্রান্তের রকস্টারের সঙ্গে আমার পরিচয় করিয়ে দেয়। তবে গত দু সপ্তাহ ধরে যেটা ঘটছে সেটা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। সম্প্রতি সম্প্রচারিত এক এপিসোডে আমি হিংসার বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠিয়েছি। একটি মেয়ে তাঁর প্রেমিককে ধোঁকা দিচ্ছল, তাই ছেলেটি মেয়েটিকে চড় মেরেছে। মেয়েটা যেটা করেছে সেটা তার ব্যক্তিগত চয়েস। সেটা ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে কারুর ব্যক্তিগত চয়েস। আমি সম্পর্কে থেকে ধোঁকা দেওয়াটা সমর্থন করিনি তবে গোটা ঘটনাটা মানুষ ভুল বুঝেছে। কিন্তু আমি একটা মেয়ের সুরক্ষার হয়ে আওয়াজ তুলেছি'।