চলতি মাসের প্রথম দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবিল খান। প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খানের সন্তানকে এইভাবে কাঁদতে দেখে খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে মানুষের মনে। সবকিছু ঠিক আছে তো? বাবিলের এই কান্না দেখে অনেকে সুশান্তের সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা টেনে আনেন।
বলিউডের একাংশের কথা টেনে এনে বাবিল বলিউডকে ‘অন্ধকারময় একটি জগত’ বলে বর্ণনা করেন। যদিও পড়ে দাবি করা হয়, অভিনেতা পুত্র মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন তাই তড়িঘড়ি ভিডিয়োটি পোস্ট করে ফেলেছিলেন। পরে ভিডিয়োটি ডিলিট করে দেওয়া হলেও ততক্ষণে সেটি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তবে এবার বাবিল যা বললেন, তাতে এটা স্পষ্ট যে তিনি আপাতত কাজের মধ্যে থাকতে চাইছেন না। বলিউডের চাকচিক্য থেকে নিজেকে দূরে রাখার জন্যই চলতি প্রজেক্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন ইরফান পুত্র। সর্বশেষ পরিচালকের উদ্দেশ্যেও দিলেন কিছু বার্তা।
আরও পড়ুন: বলি সেলিব্রিটিদের এমন ৭ চুম্বন মুহূর্ত, যা এক সময় তৈরি করেছিল বিতর্ক
শনিবার রাতে সমাজের মাধ্যমে একটি পোস্ট করে বাবিল জানান, বর্তমানে তিনি দক্ষিণী পরিচালক সাই রাজেশের প্রজেক্টে কাজ করছিলেন। তবে মানসিক উদ্বেগের কারণে আপাতত তিনি মুম্বই ফিরে এসেছেন। আপাতত কিছুটা বিশ্রামের প্রয়োজন তাই কাজ থেকে ছুটি নিয়েছেন তিনি।
বাবিলের পোস্ট করার পরেই রাজেশ দাবি জানান, তিনি বাবিলকে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন কাজের ক্ষেত্রে। এর আগেও দুটি প্রজেক্টে তাঁরা একসঙ্গে কাজ করেছেন এবং সফলভাবে কাজ করেছেন তাঁরা। রাজেশের কথার সম্মতি জানিয়ে বাবিলও জানান, পরিচালক সত্যি তাঁকে প্রতি পদে সাহায্য করেছেন।
পরিচালককে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বাবিল লেখেন, ‘খুবই বেদনার সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি এবং সাই রাজেশ স্যার একটি দুর্দান্ত প্রজেক্টে কাজ করছিলাম কিন্তু সেটি বাস্তবায়িত হল না। এই মুহূর্তে আমার বিশ্রাম প্রয়োজন। তবে রাজেশ স্যার এবং গোটা টিমকে আমার তরফ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। খুব শীঘ্রই আমাদের দেখা হবে। আবার আমরা নতুন কোনও প্রজেক্টে এক সঙ্গে কাজ করব। আমি জানি আমাদের মধ্যে যে ভালোবাসা আছে তা কখনও কম হবে না।'
আরও পড়ুন: সি সেকশনের বদলে নরম্যাল ডেলিভারির সিদ্ধান্ত! মেয়ে আথিয়াকে নিয়ে গর্বিত সুনীল, বললেন...
আরও পড়ুন: অপেক্ষার অবসান! প্রকাশ্যে এল ধামাল ৪ মুক্তির দিন, কবে আসছে অজয়-রীতেশদের ছবি?
তবে রাজেশের প্রতি বাবিলের ভালোবাসা থাকলেও যখন রাজেশ জানিয়েছিলেন, বাবিল তাঁর সাহায্যের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানাতে ভুলে গেছেন। তখন পাল্টা অভিযোগ এনে অভিনেতা পুত্র বলেছিলেন, ‘আপনার ছবির জন্য আমি জীবনে দুটো বছর দিয়েছি। চরিত্র জীবন্ত করার জন্য দাড়িতে উকুন পর্যন্ত রেখেছি। কোনও কিছুকেই পাত্তা দিইনি। আপনাকে খুশি করার জন্য চোখের জল লুকিয়ে হেসেছি। আপনার জন্য হাতের শিরা পর্যন্ত কেটেছি! আর আপনি.. আমার হৃদয় ভেঙে দিলেন।’
বাবিল বর্তমান প্রজেক্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর পেছনে নিজের মানসিক বিধ্বস্ততাকে দায়ী করলেও কোথাও না কোথাও মনে হচ্ছে এর পেছনে পরিচালকের সঙ্গে বাবিলের সম্পর্কের অবনতি কিছুটা হলেও দায়ী। যদিও অনেকেই মনে করছেন বলিউডে কাজ করতে গেলে এমন অনেক ঝড়ঝাপটা সইতে হয় অভিনেতা অভিনেত্রীদের। বাবিল যদি নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে তবেই সে পারবে যোগ্য অভিনেতা হয়ে উঠতে।