কিছুদিন আগেই মাতৃভাষা দিবস গেল। আর সেই বিষয়েই শুভপ্রসন্ন বাংলায় অন্য ভাষার অনুপ্রবেশ নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন। তিনি এই ভাষার মধ্যে হিন্দি বা উর্দু শব্দের অনুপ্রবেশ নিয়ে ঘোর আপত্তি জানিয়েছেন। আজকাল হামেশাই দাওয়াত, পানি, ইত্যাদি শব্দের ব্যবহার দেখা যায় বাংলায়। সেটারই বিরোধিতা করেন তিনি। আর তাঁর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন খোদ মুখ্য𓆏মন্ত্রী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যাꦑয়। আর এখান থেকেই শুরু হয় যত বিতর্কের।
তথাকথিত তৃণমূলী বুদ্ধিজীবী শুভাপ্রসন্ন এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি রাজনৈতিক অসুবিধার কারণেই এমন কথা বলেছেন। তাঁর কথার বিরোধিতা করেছেন। কিন্তু এই বক্তব্য নাকচ করে, উল্টে শুভাপ্রসন্নকেই কটাক্ষ করেন কুণাল ঘোষ। তিনি অত্যন্ত কড়া ভাষাতেই বলেন শুভপ্রসন্ন নাকি এবার ‘ভী💟ষণ বাড়াবাড়ি’ করছেন।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন 'শুভাপ্রসন্ন যদি সত্যি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভানুধ্যায়ী হন তাহ♎লে তাঁর উচিত এমন অবাঞ্ছিত মন্তব্য বন্ধ করা।' শুধুই কি 𓄧তাই? তিনি তাঁকে খোঁচা দিতেও ছাড়েন না এদিন। ওঁকে খোঁচা দিয়ে কুণাল বলেন, 'আমাদের দলের কারও সঙ্গে ওঁর কথা বলা উচিত। ওঁর কোনও জমি বা পদ লাগবে কিনা জানানো উচিত। তাহলেই সব ঝামেলা মিটে যায়।'
কুণালের এই মন্তব্যের পর শুভপ্রসন্ন বলেন, 'আমার অতি কাছের ওꦆ, পরিচিতও। আমি আর কী বলব? আমি কী করেছি, কী পেয়েছি সেটা সবাই জানে। এর বেশি কিছু বলার নেই আমার। এই ৭꧟৬ বছরে এসে আমি আর কী নেব? আমি যা ত্যাগ করেছি সেটা সবাই জানেন।'
যদিও বিতর্কটা শুভপ্রসন্ন এবং কুণালের কথা দিয়ে শুরু হয় তবে এই প্রসঙ্গে বুদ্ধিজীবী মহলের অনেকেই নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। ভাষা থেকে জমি লেনদেন বিষয়টা অনেকেই ভালো চোখে দেখেননি। কুণালের মন্তব্যের পর অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন𓄧 তবে কি পদ বা জমি দিয়ে সমস্ত বিতর্ক ধামাচাপা দিয়ে দেওয়া যায়?
এই বিষয়ে নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রাম আন্দোলন থেকে নানা সময়ে শুভপ্রসন্ন ওঁর সঙ্গে জড়িত থেকেছেন🎀। আমি কিন্তু জড়িত নই।' আবুল বাশার এই বিষয়ে বলেন, 'এই কথাটা শুনতে মোটেও ভালো লাগল না।' অন্যদিকে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় বলেন, 'এটা একেবারেই শাসক দলের🐭 নিজস্ব ব্যাপার, এই নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু যেভাবে লেনদেন প্রকাশ্যে চলে আসছে, সেটা শাসক দলের জন্য ভালো না। বাংলার বর্তমান ভবিষ্যতের জন্য ভালো নয়। শিল্পীদের স্বাধীনতা বজায় রাখতে হবে এবং শাসকদের এই বিষয়ে নজর দিতে হবে।'