টলিউডকে একদম নতুন ধরনের সুর এনে দিয়েছিলেন তিনি। কমার্শিয়াল ছবির গানকে আমূল পাল্টে দিয়েছিলেন তিনি। কার কথা বলছি? সুরকার তথা গায়ক জিৎ গঙ্গোপা🦩ধ্যায়๊ের কথা। এখনও তিনি বাংলা বিনোদন জগতের অন্যতম প্রথম সারির সুরকার। একটা সময় তিনি এক চেটিয়া ভাবে রাজ করেছিলেন। এখন তিনি নতুন প্রজন্মকে সুযোগ দেওয়ার জন্য এগিয়ে এলেন।
সঙ্গীত পরিচালনা নয় এবার, একদম নতুন একটা ইনিংস শুরু করলেন জিৎ। চালু করলেন নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল। নাম দিয়েছেন জিৎ গাঙ্গুলি অরজিনালস। আর সেই খবরই তিনি সকলের সঙ্গে ⭕ভাগ করে নিলেন।
শুধু ইউটি🎐উব চ্যানেল তৈরি করা নয়। সেই চ্যানেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন গায়ক। এই ভিডিয়োতেই নতুন বার্তা দিয়েছেন জিৎ। বলেছেন, 'অনেক নতুন গায়ক, নতুন গীতিকার ভাল কাজ করছেন। আমি সব সময় এঁদের সঙ্গে কাজ করার কথা ভাবতে থাকি। সেটা ভেবে ভেবেই এই চ্যানেলটা খুলে ফেললাম।'। তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, 'এমন অনেক গান আছে, যেটা আমার মনে হয় এখনই আপনাদের শোনাই। এই চ্যানেলে সেই গানও শুনতে পাবেন আপনারা।'। অর্থাৎ এখান থেকে স্পষ্ট, গায়ক তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে নতুন ট্যালেন্টদের প্রকাশ্যে আনতে আগ্রহী।
২০০১ সালে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন জিৎ। প্রীতমের সঙ্গে যুই বেঁধে তিনি সুরকার হিসেবে পথ চলা শুরু করেছিলেন। বলিউডে প্রথম কাজ করেন তাঁরা। তেরে লিয়ে ছবিতে কাজ করেন তাঁরা। এরপর মেরে ইয়ার কী শাদি হ্যায় ছবিত🌠েও তাঁরা সুর দেন। তবে এরপরই জিৎ প্রীতমের জুটিতে ফাটল ধরে। মুদ্দা দ্য ইস্যু ছবি থেকেই সমস্যা তৈরি হয়। তখনই ༒বলিউড থেকে টলিউডে আসেন জিৎ। শুরু করেন কাজ। একটার পর একটা হিট কাজ করে চলেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বন্ধন, যুদ্ধ, হিরো, ইত্যাদির মতো ছবি। এরপর তিনি প্রেমের কাহিনী, চ্যালেঞ্জ, সাত পাকে বাঁধা, পাগলু, দুই পৃথিবী ছবিতেও কাজ করেন। সম্প্রতি তাঁকে টনিক, বিবাহ অভিযান ছবিতেও কাজ করতে দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে বলিউডেও তিনি আশিকি ২, খামোশিয়া, ইত্যাদি ছবিতেও সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলেন। এবার নিজের কাজ ছাড়াও তিনি নতুনদের এই দুনিয়ায় জায়গা করে দিতে আগ্রহী।