আর জি করের চিকিৎসক তরুণীর খুন ও ধর্ষণের মামলায় উত্তপ্ত গোটা বাংলা। প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ছে সবমহল থেকে। পিছিয়ে নেই টলিপাড়ার তারকারাও🐷। এই তালিকায় একদম শুরু থেকে সঙ্গী ঋত্বিক চক্রবর্তী। পথে নেমে প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও সর্বক্ষণ সোচ্চার অভিনেতা।
মঙ্গলবার সুপ্রিম শুনানির আগে সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিল জুনিয়র 🧸চিকিৎসকরা। রাজ্য সরকারের তরফে আন্দোলনকারীদের অধিংশ দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। সেইমতো মঙ্গলে পুলিশ কমিশনার-সহ একাধিক পদে রদবদল করা হয়। কিন্তু তারপরেꩲও সুর নরম হয়নি আন্দোলনকারীদের। মঙ্গলবার গভীর রাতে তাঁরা জানিয়ে দেয়, আন্দোলন চলবে অর্থাৎ কর্মবিরতি এখনই উঠছে না। এই আবহে আজ ফের নবান্নে বৈঠকের জন্যে আবেদন জানিয়ে ইমেল পাঠিয়েছেন তাঁরা। নবম দিনেও স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধরনা অব্যাহত তাঁদের। সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত না হওয়ার পর্যন্ত, কাজে ফিরতে অনীহা জুনিয়র ডাক্তারদের।
এর জেরে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের অনেকেই জুনিয়র চিকিৎসকদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের খলিস্তানি জঙ্গি ভিন্দ্রানওয়ালের সাথে তুলনা পর্যন্ত করেছেন শাসক দলের সཧাংসদ সৌগত রায়। সেই ঘটনা নিয়েই এবার ফুঁসে উঠলেন ঋত্বিক।
অভিনেতা নিজের সোশ্যাল মিডিয়া🐼র দেওয়ালে লেখেন- ‘আপনারা তাহলে নিশ্চয়ই ঘুষ দিয়ে ডাক্তার হওয়ার পক্ষে? থ্রেট দিয়ে নাম্বার বাড়ানোর সঙ্গেই আছেন তো? নিরাপত্তাহীনতায় ডাক্তারদের কেমন লাগে দেখতে খুব উৎসাহী? স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অনিয়ম চললেও চোখ বন্ধ রাখার আন্তরিক তাগিদ অনুভব করেন? তাই জুনিয়র ডাক্তার দের আন্দℱোলনের বিপক্ষে আপনারা?’
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সর্বান্তকরণে সমর্থন জানিয়ে ঋত্বিকের প্রশ্ন, ‘জহর বাবুর সদ্য ছাড়া চেয়ার টার দিকে তাকিয়ে লালা ঝরছে?? এই সুয🤡োগে কিছু নাম্বার বাড়াবার মতলবে আছেন’।
ঋত্বিকের এই পোস্টে বেশিরভাগ মানুষই চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে বেশ কয়েকজন কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। এক নেটিজেন প্রশ্ন করেন, ‘সরকারি হসপিটালে পরিষেবা নিতে যায় একেবারে সাধারণ গরিব মানুষ। দিনের পর দিন তাদের পরিষেবা না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়ে তাদেরই ট্যাক্সের পয়সায় কামাইটা নিয়ে যা𒁏ওয়ার আপনি পক্ষে?…..সাধারণ মানুষ বা কটা ছোটলোকে না হয় উপযুক্ত চিকিৎসা না পেয়ে মারলো,তাতে কি এসে যায়?’
এর🐓 জবাবে চাচাছোলা ঋত্বিক। সরাসরি মমতা সরকারকে বিঁধে তিনি লেখেন, ‘আপনি ট্যাক্সের টাকার অপচয়ের বিপক্ষে? দুর্গা পুজোতে ট্যাক্সের টাকা সরকারের বিলিয়ে দেওয়াটা আপনার মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে হয়? আপনি ভাবেন প্রাইভেট হসপিটাল আর হেলথ ইন্সুইরেন্স এর সবাই যাতে চুটিয়ে কামাতে পারে আমরা সবাই সারা দিন সেই নিয়ে প্রার্থনা করি? আপনি কি ব্রেন হাঁটুতে রাখার পক্ষপাতী?’
প্রসঙ্গত, চলতি বছর দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলির অনুদান বেড়ে হয়েছে ৮৫ হাজার ট♑াকা। একলাফে এই টাকার অঙ্ক বেড়েছে ১৫ হাজার। আগামী বছর ত🉐া বেড়ে হবে ১ লক্ষ, আশ্বাস দিয়ে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।