ফ্ল্যাটে ডেকে এনে এক মহিলাকে মারধর করা হয়েছে, ২০১৯ সালে এমনই অভিযোগ উঠেছিল টলিউেডর একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক লোকেশ ঘোষের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার পর লোকেশ পলাতক, মিডিয়ায় এমন খবরও ছড়িয়ে। মহিলা দাবি করেছিলেন, তাঁকে পেট ব্যথা করছে জানিয়ে কসবার একটি ফ্ল্যাটে ডাকেন লোকেশ। পেশায় যিনি গায়িকা। সেই গায়িকা গিয়ে দেখেন লোকেশ সেইসময় মদ্যপ। এরপর মেয়েটি, লোকেশের ফোন ঘেঁটে জানতে পারে যে, একাধিক মহিলার সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। আর সেটা নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। সেখান থেকে হাতাহাতি, মারমারি। এরপরই লোকেশ কাচের বোতল ছুঁড়ে মারেন তাঁকে। এছাড়াও একাধিকবার লাথি-ঘুসিও মারেন। তারপর সেই মহিলা ওই রাতেই ছুটে যান থানায়।
সম্প্রতি এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন লোকেশ ঘোষ। আড্ডা স্টেশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি ওর সম্পর্কে ছিলাম। রাতে এল, আমি তখন খেয়ে ঘুমাব। খুব ক্লান্ত আমি। মোবাইল তখন লকও করতাম না আমি। সেইসময় কারও সঙ্গে জমি কেনা নিয়ে কতাবার্তা চলছিল। যে একজন মেয়ে। এই কত টাক কাটা পড়বে, কত অ্যাডভান্স করতে হবে এইসব। তো আমি বেঘোরে ঘুমাচ্ছি। সে (প্রেমিকা) গিয়ে আমাকে দুমদাম মারতে থাকে। আমি হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে চমকে গিয়েছিলাম। নিজেকে বাঁচাতে ওকে একটা ধাক্কা মারি। ওর মাথাটা গিয়ে দেওয়ালে লাগে। আর ও এটা নিয়ে মামলা করে দেয়। আমাকে জেলের পিছনে পাঠানোর জন্য আর কি!’
তাহলে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন কেন? প্রশ্নে একসময়ের জনপ্রিয় হিরো লোকেশ দাবি করেন, ‘একদমই তা নয়। ওই ঘটনার পরদিন আমার এক বন্ধুর হজে যাওয়র ছিল। আমি ওকে এয়ারপোর্টে ছাড়ি। পরদিন আমার দুটো শো ছিল। মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম। এয়ারপোর্ট থেকেই ওখানে চলে যাই। ওখানে থাকাকালীনই দেখি খবরের কাগজে এসব বেরোতে শুরু করেছে। আমি আমার আইনজীবীকে কল করি। সে বলে আপনি এসব নিয়ে ভাববেন না। সোমবার আপনার জামিন হয়ে যাবে।’
লোকেশ ঘোষ এই সাক্ষাৎকারে আরও দাবি তোলেন যে, এই ঘটনার পরেও বেশ কিছু সময় সেই মেয়েটির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। মেনে নেন যে, এটি তাঁর ভুল ছিল।প্রসঙ্গত, একটা সময় বিখ্যাত চিত্রপরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর বড় মেয়ে চুমকি চৌধুরীর সঙ্গে বিয়েও হয়েছিল লোকেশ ঘোষের ৷ তবে সে সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি ৷