লাইমলাইট থেকে একদম দূরে থাকতেই ভালোবাসেন ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঙালির অন্যতম আইকন তিনি। বিশ্ববন্দিত এই অভিনেতা বাংলা থেকে অনেক দূরে নিভৃতে বসবাস করেন। ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, মাইল্ড হার্ট অ্যাটাকের শিকার অভিনেতা। ভিক্টর বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের হার্টে ব্লকেজ মিলেছে, আপতত হাসপাতালে ভর্তি তিনি।
মুসৌরিতে নিজের বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন বর্ষীয়ান অভিনেতা, সেখান থেকে দেরাদুনের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। শুরুতে আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন। তবে এখন তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, তাই জেনারেল বেডে দেওয়া হয়েছে। আপতত কিছু হাসপাতালেই থাকতে হবে তাঁকে। দিন তিনেক আগেই হাসপাতালে ভর্তি হন অভিনেতা। চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছেন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
৭৭ বছর বয়সী অভিনেতার অসুস্থতার খবরে স্বাভাবিক ভাবেই বিচলিত ভক্তকূল। ২০২২ সালে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসময়ও খুব বেশি জটিলতা ছিলেন না তাঁর শরীরে, তবে ওই বছর ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় পরপর কোভিড ও ডেঙ্গুতেও আক্রান্ত হন, সেইসময় ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।
শিবপ্রসাদ-নন্দিতার রক্তবীজের হাত ধরে দীর্ঘদিন পর বাংলা ছবির পর্দায় ফিরেছিলেন ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছর পুজোয় মুক্তি পায় এই ছবি, যা বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করেছিল। প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের আদলে তৈরি চরিত্রে দেখা মিলেছিল তাঁর।
সত্যজিৎ রায়ের ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’র মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে আলোড়ন তৈরি করেছিলেন ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে ‘দুই পৃথিবী’, ‘ঘরে বাইরে’, ‘আক্রোশ’, ‘লাঠি’র মতো সিনেমায় তাঁর কালজয়ী অভিনয় দর্শক আজও ভুলতে পারেনি। ১৯৮৪ সালে মুক্তি পাওয়া ডেভিড লিন পরিচালিত হলিউড ছবি ‘আ প্যাসেজ টু ইন্ডিয়া’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন তিনি। হিন্দি, বাংলা, ইংরাজি পাশাপাশি একাধিক ভাষার ছবিতে কাজ করেছেন ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন ভক্তরা।