কিংবদন্তি তবলাবাদক তিনি। ওস্তাদ জাকির হুসেন, এই নামেই তাঁকে ভূ-ভারত চেনে। তবলাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছিলেন এই শিল্পী। একসম𓂃য় তবলাবাদকদের গুরুত্ব শুধুমাত্র গানের সঙ্গে সঙ্গতের জন্যই ছিল। শুধুমাত্র গানের সঙ্গে সঙ্গতের জন্যই তবলচিদের ডাক পড়ত। তবে সেই ধারণাকে ভেঙে তবলার মতো বাদ্যযন্ত্🐲রকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিলেন যিনি, তিনি হলেন জাকির হুসেন।
সেই একমাথা ঝাঁকড়া চুল, পরনে পাজামা-পাঞ্জাবি, আর তবলার ঝঙ্কার, জাকির হুসেন বলতে এই ছবিটাই বেশিরভাগ মানুষের মনে পড়ে। মনে পড়ে আরও একটা দ🗹ৃশ্য তাজমহলের সামনে বসে তাঁর সেই তবলা বাজানো আর চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বলে ওঠা 'বাহ তাজ'…। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন ‘তা🤪জমহল’ চায়ের সেই বিখ্যাত বিজ্ঞাপনের কথাই বলছিলাম। রবিবার তাঁর প্রয়াণে সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন করে ভাইরাল হয়েছে পুরনো সেই জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনটি। আরও একবার সেই বিজ্ঞাপনের হাত ধরেই পুরনো দিনের নস্টালজিয়ায় ভেসেছেন তাঁর অনুরাগীরা।
অনেকের কাছেই এই কিংবদন্তি শিল্পীর প্রথম স্মৃতি তাঁর কনসার্ট নয় বরং ১৯৯০ এর দশকের ব্রুক বন্ড তাজমহল চায়ের টেলিভিশন বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনটি শুধু বিপণনের জন্য নয়, সেই গোটা প্রজন্মের শেয়ার করা স্মৃতির একটা অংশ। যেখানে ওস্তাদ জাকির হুসেনকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘ওয়া ওস্তাদ নয়, বাহ তাজ বলিয়ে’। X হ🍌্যান্ডেলে এক ব্যক্তিকে বিজ্ঞাপনটি শেয়ার করে একজন লিখেছেন, ওস্তাদ জাকির হুসেনের প্রয়াণে ভারতের হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন আজ একটু ধীর হয়ে গিয়েছে। আমাদের অনেকের কাছেই আমাদের শৈশব থেকে একটি লা🌜লিত স্মৃতি হল ‘আরে হুজুর, বাহ তাজ বলিয়ে!’ যেটি তার সঙ্গীতের সুরের ঝঙ্কারের থেকেও বেশি ছিল। এটা তাঁর আত্মার একটি অভিব্যক্তি, বিশ্বের কাছে একটা উপহার ছিল. আমরা আপনাকে মিস করব #জাকিরহুসেন জি। আপনি শান্তিতে বিশ্রাম নিন।'
আরও পড়ুন-‘বাড়ি থেকে পালাতে চেয়েছিলাম, জিন্স পরতে চেয়েছღিলাম…’, সেদিন অকপটে বলেন জাকির হুসেন
এভাবে🌺 বহু নেটিজেনই বিজ্ঞাপনটি শেয়ার করে স্মৃতি চারণা করেছেন।
কিন্তু কীভাবে তৈরি হয়েছিল এই বিজ্ঞাপন?
এই বিজ্ঞাপনটি ছিল একটা কালজয়ী সৃষ্টি। ১৯৬ সালে, ব্রুক বন্ড তাজমহল চা কলকাতায় এল। তবে মজার বিষয় হল, ওস্তাদ জাকির হুসেন এই ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনের জন্য প্রথম পছন্দ ছিলেন না। তবে যꩵখন এটি তার বিজ্ঞাপনের জন্য সেলিব্রিটি খোঁজা হচ্ছিল তখন অভিনেতা জিনাত আমান, মালবিকা তিওয়ারিকে বিজ্ঞাপনের জন্য বলা হয়েছিল। তবে বিজ্ঞাপনে নির্মাতারা এটাকে একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী পণ্য হিসাবে প্রচার করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। তবে ১৯৮০ এর দশকে, নির্মাতারা খেয়াল করেন যে তাজমহল চা মধ্যবিত্তদের মধ্যেও জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
এরপর হিন্দুস্তান থম্পসন অ্যাসোসিয়েটস (HTA) কে এই চায়ের নতুন ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি করার জন্য নিযুক্ত করা হয়। যা সঠিকভাবে চায়ের প্রসারিত ভোক্তা বে📖সকে পূরণ করবে। তাজমহল চায়ের এখন এমন একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর দরকার ছিল যিনি পাশ্চাত্য ও ভারতীয়দের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে। HTA-এর কে এস চক্রবর্তী, তখন একজন কপিরাইটার, তবলার অনুরাগী ছিলেন, তিনিই ওস্তাদ জাকির হুসেনকে কাজের জন্য সেরা পছন্দ হিসাবে চিহ্নিত করেন। জানা যায় ওস্তাদের সঙ্গে যখন বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করা হয় তিনি জেনে এটতাই খুশি হয়েছিলেন যে তিনি নিজের খরচে সান ফ্রান্সিসকো থেকে আগ্রায় চলে এসেছিলেন।