তিনি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর ব্যস্ততা প্রতি মুহূর্তেই তুঙ্গে। তবে এরই মাঝে নিজেকে ফিট রাখা বেশ চ্যালেঞ্জের। সেই জায়গা থেকে কিছুদিন আগে, ‘ওয়ার্ল্ড লিভার ডে’তে অমিত শাহ জানালেন, কীভাবে তিনি নিজেকে ফিট রাখেন। এপ্রিলের ওই অনুষ্ঠানে অমিত শাহ দেশের যুব সমাজের প্রতি ফিট থাকার আহ্বান জানান। প্রায় ৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে অমিত শাহ নিজে কোন অভ্যাসকে সঙ্গী করায় ফিটনেসের দিক থেকে উপকার পেয়েছেন, তা বলে দেন ওই অনুষ্ঠানে।
‘ওয়ার্ল্ড লিভার ডে’তে দিল্লির ওই অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেছিলেন,' প্রয়োজনীয় পরিমাণ ঘুম, জল, ডায়েট এবং নিয়মিত ব্যায়াম আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে... আজ, আমি আপনাদের সামনে যেকোনো ধরণের অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ এবং ইনসুলিন মুক্তভাবে দাঁড়িয়েছি।' তিনি বলছেন, এই নির্দিষ্ট ফিটনেস সংক্রান্ত অভ্যাস তাঁকে শারীরিকভাবেই শুধু ফিট রাখেনি, সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রেও তাঁকে সুবিধা দিয়েছে। অমিত শাহ ওই অনুষ্ঠানে বলেন,' এটি আমার কাজ করার, চিন্তা করার এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা উন্নত করেছে।' তিনি ওই অনুষ্ঠানে বলেন, কীভাবে তিনি ২০১৯-২০ সাল থেকে নিজের ওজন কমানোর সফর শুরু করেন। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখে অমিত শাহ সকলের প্রতি আহ্বান জানান,' আমি অনুরোধ করছি, যেন শরীরের জন্য দুই ঘন্টা ব্যায়াম করা হয় এবং ব্রেনের জন্য ছয় ঘন্টা ঘুমানো হয়। এটা খুবই কাজে লাগবে। এটা আমার নিজের অভিজ্ঞতা।' ব্যায়াম আর ঘুমের ভারসাম্য রক্ষা কতটা জরুরি সেকথা তুলে ধরেন অমিত শাহ। এছাড়াও লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখার বিষয়েও সচেতনতার কথা বলেন অমিত শাহ। অনুষ্ঠানে তিনি তুলে ধরেন ২০ কেজি ওজন কমানোর কথা।
( ঘুম থেকে ওঠেন ভোর ৬টায়, 'ব্যস্ত' ৭০ বছর বয়সী জয়শংকর সকালে কতক্ষণ হাঁটেন? খেলেন স্কোয়াশ.. রইল রুটিন)
‘দ্য প্রিন্ট’র রিপোর্ট বলছে, প্রাকৃতিক উপায়ে অমিত শাহ ২০ কেজি ওজন কমিয়ে ছিলেন। সেখানে বলা হয়েছে, সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিক শাহ তাঁর নৈশভোজ সেরে ফেলেন। এছাড়াও তিনি স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্টের দিকে আলাদা করে নজর দেন। তিনি চিনি খাওয়ার মাত্রা কমিয়ে ফেলেছেন বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও সকালে গিলয়-আমলকির জুস খেয়ে থাকেন অমিত শাহ বলে জানা যায়। ওই মিডিয়া রিপোর্টে উল্লেখ করা হচ্ছে, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মর্নিং ওয়াক করতে ভোলেন না। রিপোর্ট বলছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের খাওয়া দাওয়া নির্দিষ্ট রুটিনে করে থাকেন।