অভিষেক কোলে
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায় পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতার কথা লিখতে বসে কবি প্রমোদ বসুর একটি ছড়ার কয়েকটি লাইন মনে পড়ছে। 'ছোটদের ফার্স্ট হতে হয়। বড়দের মান বাঁচাতে, দিনরাত এই খাঁচাতে, ছোটদের ফার্স্ট হতে হয়।'
২০১৯-এর একেবারে শেষ লগ্নে যখন আত্মপ্রকাশ করে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা, তখন ৯৫ নট-আউট তার জনক। আজাদ ময়দানের টেন্টে থেকে ভারতীয় ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে পর্যন্ত যশস্বী জসওয়ালকে নিয়ে বিশেষ কারও আগ্রহ ছিল না। তবে সচিনের ছেলে বড় ক্রিকেটার হবেন কিনা, অর্জুনকে নিয়ে সবার আগ্রহ তাঁর জন্ম লগ্ন থেকেই। সুতরাং, প্রায় শতাব্দী প্রাচীন এক প্রতিষ্ঠানের নবজাতক হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার দিকে শুরু থেকেই নজর ছিল বাংলার সংবাদমহলের। বড়দের মান বাঁচাতে তাই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সামনে চ্যালেঞ্জ ছিল ফার্স্ট হওয়ার। বলা বাহুল্য মাত্র ৫ বছরেই সেই লক্ষ্যে অনেকটাই এগিয়েছি আমরা।
একেবারে প্রথম দিন থেকে নয়, তবে একদম শুরুর সময় থেকেই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার যাত্রা পথের সঙ্গী আমি। এখানে আসার আগে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল। তবে বিস্তর প্রতিকূলতার মাঝে প্রতিদিন জল দিয়ে চারাগাছকে বড় করে তোলার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন যে ক'জন, তাঁদের প্রচেষ্টায় হাত লাগানোর তৃপ্তি অপরিসীম। বিশেষ করে আজ যখন সেই চারাগাছ ডালপালা ছড়িয়ে বেড়ে উঠেছে, মাথা তুলেছে অনেকের থেকে উঁচুতে, তখন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা পরিবারের বাকিদের সঙ্গে অতীতের দিনগুলির ঘাম ঝরানো স্বার্থক বলে মনে হচ্ছে।
একজন দক্ষ নাবিকের হাতে হাল থাকলে উত্তাল জলরাশি অনায়াসে টপকে যেতে পারে ছোট্ট ডিঙি নৌকাও। ব্যক্তিগতভাবে আমার বিশ্বাস,তেমনই এক কাণ্ডারী ভবিষ্যতেও সুসময় ও প্রতিকূলতায় আমাদের যথাযথ পথ দেখিয়ে তরতরিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবে সামনের দিকে। প্রতিপক্ষদের পাঁচ গোল দেওয়ার আত্মতুষ্টিতে ডুবে থাকতে রাজি নই। লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া। পরবর্তী লক্ষ্য খেতাব ধরে রাখা। আপাতত একটি করে সিঁড়িতে পা দিয়ে উপরে ওঠাই হোক মূল মন্ত্র। সময় বুঝে লাফ দেওয়া যাবে আরও উঁচুতে।