প্রতিবছর বর্ষা বাড়তেই ডে꧙ঙ্গি মশার প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যায় কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা গুলিতে। তবে নিকাশি ব্যবস্থা ভালো না থাকায় ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব সব থেকে বেশি লক্ষ্য করা যায় কলকাতায়। প্রতিবছর ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ♌বহু মানুষ। চলতি বছর তাই ডেঙ্গিকে আটকানোর জন্য অভিনব পদক্ষেপ নিল কলকাতা পৌরসভা।
কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ডেঙ্গি শনাক্তকরণে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অথবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে এবার কাজে লাগানো হবে। সম্পূর্ণ বিষয়টি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তিবিদরা গবেষণা করছেন। গবেষণার স্তর পার হলেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ডেঙ্গি নিধনের ক্ষেত💎্রে কাজে লাগানো হবে।
(আরও পড়ুন: বর্ষায় বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন ‘লেমন চিকেন টিক্কা’, রই🦹ꦆল খুব সহজ রেসিপি)
এই প্রসঙ্গে কলকাতা পৌ⛄রসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায়চৌধুরী বলেন, ‘মশা মারতে নয়ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ, মূলত ডেঙ্গি শনাক্তকরণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করা হবে। যত দ্রুত ডেঙ্গি শনাক্ত করা যাবে, ততই দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যাবে। স্বাভাবিকভাবেই এতে মৃত্যুর হার অনেক বেশি কমে যাবে।’
ডেঙ্গি প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা বলছেন, ‘অনেকেই ভাইরাল জ্বরের সঙ্গে ডেঙ্গিকে গুলিয়ে 🍃ফেলেন। স্বাভাবিকভাবেই জ্বর এলেও তেমন ভাবে পাত্তা দেন না রোগীরা। পরবর্তীকালে যখ🃏ন বোঝা যায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন রোগী, রক্তে প্লাজমা এবং অনুচক্রিকার মাত্রা অনেকটাই কমে যায়। আর এখানেই হয় সমস্যা।’
কলকাতা পৌরসভার আরবান প্রাইমারি হেলথ ক্লিনিকগুলোতে🍨 কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে এমন ভাবে ব্যবহার করা হবে যাতে জ্বরের ধরন এবং উপসর্গ দেখলেই বোঝা যায় সেটি ডেঙ্গি কিনা। পুরো বিষয়টি প্রোগ্রামিং করা থাকবে কম্পিউটারে, যাতে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা নথিভুক্ত থাকে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছ🐷রের গত ১১🔯 আগস্ট পর্যন্ত কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৫৫। ১৮ আগস্ট পর্যন্ত সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২৯১। ডেঙ্গির পাশাপাশি ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ১১ আগস্ট পর্যন্ত ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,৩৫৮। যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৪৮৩ - তে।
(আরও পড়ুন: বর্ষার দিনে রইল ৭ ধরনের খিচুড়ির হদিশ! এই লোভনীয় পদের রকমফের দেশের কোন প্রান্তে𓃲 কেমন?)
কলকাতা পৌরসভা সূত্রে খবর, গত বছরের তুলনায় এই বছরের ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম। এই বছর ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৭০.৬৪ শতাংশ কমেছে। মনে করা হচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে এই সংখ্যা আরও কিছুটা কমানো যাবে। এছাড়া ডেঙ্গির ভ্যাকসিন তৈরি করার জন্য গবেষ🍎ণা করা হচ্ছে। ডেঙ্গির ভ্যাকসিন বাজারে চলে এলে, কিছুটা হলেও নিশ্চিন্ত হবেন মানুষ।