লিবারেল পার্টির পরবর্তী নেতা এবং কানাডার ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মার্ক কার্নির নাম ঘোষণা করা হল। লিবারেল পার্টির প্রেসিডেন্ট সচিত মেহরা মার্ককে জয়ী ঘোষণা করেন এই ভোটাভুটিতে। উল্লেখ্য, লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দৌড়ে আগে থেকেই এগিয়ে ছিলেন কার্নি। এই আবহে প্রত্যাশা মতোই তিনি লিবারেল পার্টির নেতা হওয়ার লড়াইয়ে জয়ী হন। জানা গিয়েছে, লিবারেল পার্টির নেতা হওয়ার দৌড়ে মার্ক কার্নি ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়েছিলেন। মোট ভোটের প্রায় ৮৫.৯ শতাংশ এটা। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড পেয়েছেন ১১ হাজার ১৩৪ ভোট, কারিনা গোল্ড পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৮৫ ভোট এবং ফ্রাঙ্ক বেলিস পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৮ ভোট। (আরও পড়ুন: খুশির রাতে ধুন্ধুমার, ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় উদযাপনের মিছিলে ছোড়া হল পাথর)
আরও পড়ুন: সেই 'মোটা' রোহিতের পুল শটেই 'আউট' শামা, ভারতের CT জয়ের পর কংগ্রেস নেত্রী বললেন…
মার্ক কার্নি তার উদ্বোধনী বক্তব্যে কানাডাকে 'শক্তিশালী' বলে বর্ণনা করেন। তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জঁ ক্রেতিয়েনের বক্তৃতার উল্লেখ করে বলেন যে তিনি তাঁর পরিবারকে উদারপন্থী লিবারেল হতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। কার্নি যোগ করেন যে তাঁর বাবা ১৯৮০-এর দশকে আলবার্টায় লিবারেল প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, 'আপনি (ক্রেতিয়েন) বছরের পর বছর ধরে আমাকে আর্থিক দায়বদ্ধতা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের ঐতিহ্যে অনুপ্রাণিত করেছেন।' তিনি দাবি করেন, তাঁর নতুন সরকার একটি শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য একটি নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করবে। (আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ ও করিমনগরে ভারতীয় ফ্যানদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ)
এদিকে ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকির বিষয়ে কার্নি বলেন, 'আমরা তাঁকে (ট্রাম্প) সফল হতে দিতে পারি না এবং করবও না।' তিনি আরও বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র যতক্ষণ না মুক্ত ও ন্যায্য বাণিজ্যের বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য প্রতিশ্রুতি দিতে পারছে, যতক্ষণ না তারা কানাডার সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত পাল্টা ব্যবস্থা (শুল্ক) বহাল থাকবে।' তাঁর কথায়, 'আমেরিকা কানাডা নয়। কানাডা কোনোভাবেই আমেরিকার অংশ হবে না।'
৫৯ বছর বয়সি কার্নি, 'রাজনৈতিক বহিরাগত'। কার্নি প্রত্যন্ত উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলগুলির ফোর্ট স্মিথে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং হার্ভার্ডে পড়াশোনা করেছিলেন। সেই সময় তিনি বেশ ভালো আইস হকি খেলতেন। তিনি নিজের কর্মজীবে গোল্ডম্যান শ্যাকসে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। ২০০৮ সালের আর্থিক সঙ্কটের সময় কানাডাকে বিপর্যয় এড়াতে সাহায্য করেছিলেন তিনি। তিনি ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ব্যাংক অব কানাডার অষ্টম গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আর্থিক স্থিতিশীলতা বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছিলেন।