'আজকের অনুষ্ঠান অনেকের ঘুম উড়িয়ে দেবে।' এক মঞ্চে কেরলের সিপিএম মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরকে সঙ্গে নিয়ে ইন্ডিয়া জোটকে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।শুক্রবার কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে আনুষ্ঠানিকভাবে জিনজাম সমুদ্র বন্দরের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সমুদ্র বন্দরের প্রজেক্টের দায়িত্বে ছিল ‘আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশ্যাল ইকোনমিক জোল প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থা। এই বন্দর উদ্বোধনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী অস্বস্তি বাড়িয়েছেন কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের। (আরও পড়ুন: আতঙ্কে চোখের পাতা এক হচ্ছে না পাক পঞ্জাব থেকে খাইবারের, এরই মাঝে সরকারের পদক্ষেপ)
আরও পড়ুন-'নতুন যুগের….', কেরলে আদানিদের সমুদ্রবন্দর উদ্বোধনে বিশেষ বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
এদিন শশী থারুরের পাশাপাশি কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও তিরুঅনন্তপুরমে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। একই সঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের চক্ষুশূল গৌতম আদানিও হাজির ছিলেন একই মঞ্চে। সব মিলিয়ে শুক্রবার এক বিরল দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছে গোটা দেশ। আর এই মোক্ষম সুযোগ হাতছাড়া করেননি প্রধানমন্ত্রী মোদীও।হাসতে হাসতে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'আপনি ইন্ডি জোটের একজন মজবুত স্তম্ভ। শশী থারুরজিও এখানে উপস্থিত রয়েছেন। আজ বোধহয় অনেকেরই রাতের ঘুম উড়ে যাবে।' পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আদি শঙ্করাচার্য জয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'আজ ভগবান আদি শঙ্করাচার্যের জন্মবার্ষিকী। তিন বছর আগে সেপ্টেম্বরে, আমার তাঁর জন্মস্থান পরিদর্শনের সুযোগ হয়েছিল। আমি খুশি যে আমার সংসদীয় এলাকা কাশীর বিশ্বনাথ ধাম কমপ্লেক্সে আদি শঙ্করাচার্যের একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ ধামে আদি শঙ্করাচার্যের মূর্তি উন্মোচন করার সুযোগ পেয়েছি। আজ, দেবভূমি উত্তরাখণ্ডে কেদারনাথ মন্দিরের দরজা খুলে গেছে।' (আরও পড়ুন: ভারতের ভয়ে হাফ ডজনেরও বেশি লস্কর জঙ্গিকে নিরাপদস্থানে নিয়ে গেছে পাকিস্তান)
আরও পড়ুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে শুরু হয়ে গেল যুদ্ধের প্রস্তুতি
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে আসেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে এসেছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও। মোদীর সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করে শশী থারুর লেখেন, 'দিল্লি বিমানবন্দরের অব্যবস্থায় দেরি হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও আমি কোনওভাবে ঠিক সময়ে পৌঁছে যেতে পেরেছি। আমার কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত থাকতে পেরেছি।' আর শশীর এমন মোদী-প্রীতির কথা প্রকাশ্যে আসতেই চর্চা শুরু হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরে। সম্প্রতি শশী থারুরের সঙ্গে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল তাঁর নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রশংসা করার পর। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত সরকারের ভূমিকা, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কূটনৈতিক বার্তালাপের প্রশংসা করেছিলেন তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কটাক্ষ ভাবাচ্ছে বিরোধীদের।
আরও পড়ুন: পহেলগাঁও হামলার আবহে সীমার 'কাশ্মীর যোগ' নিয়ে বিস্ফোরক তাঁর স্বামীর আইনজীবী
তবে কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেণুগোপাল বলেন, 'জানি না কোন গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমন মন্তব্য করছেন। ইন্ডিয়া জোট, কংগ্রেস কিংবা রাহুল গান্ধী নয়, প্রধানমন্ত্রীই বিনিন্দ্র রজনী কাটাবেন। জাতিগণনা নিয়ে তাঁর উপর চাপ তৈরি করব আমরা। মহিলা সংরক্ষণ বিলের মতোই এটির ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা শান্তির ঘুম ঘুমব। তবে প্রধানমন্ত্রীর ঘুম আসবে না।'