꧂ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটে গেল ইসকন মন্দিরে। উত্তর প্রদেশের মথুরা🌼র কাছে বৃন্দাবনে ইসকন মন্দির থেকে প্রমাণীর টাকা, রসিদের বই চুরি হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় ইসকনের এক কর্মীর বিরুদ্ধে উঠেছে এই চুরির অভিযোগ। ইতিমধ্যেই দায়ের হয়েছে এফআইআর।
জানা গিয়েছে, শনিবার এই ঘটনাটি ঘটে। ভক্তদের প্রণামীর লক্ষাধিক টাকা নিয়ে চম্পট দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ইসকনের কর্মী মুরলীধর দাসের বিরুদ্ধে। তাঁর কাছেই দায়িত্ব ছিল, ভক্তদের থেকে প্রণামী সংগ্রহ করে তা আবার মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়ার। এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশের সুপারিটেনডেন্ট অরবিন্দ কুমার। তিনি বলেন,' ইসকন মন্দিরের প্রধান অর্থ আধিকারিক বিশ্ব নাম দাস ২৭ ডিসেম্বর কথিত চুরির বিষয়ে জানিয়ে একটি আবেদন জমা দেন। একটি ꦜপ্রাথমিক তদন্ত পরিচালিত হয়েছিল, যার পরে এফআইআর দায়𓆉ের করা হয়েছে।'
রিꦺপোর্ট বলছে, অভিযুক্ত মুরলীধর দাসের কাছে ছিল মন্দিরের রসিদ বই। বহু দিন ধরেই তাঁকে তা জমা দিতে বলা হচ্ছিল। তবে তাতে কর্ণপাত তিনি করেননি বলে অভিযোগ। কিছুতেই মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে মুরলীধর দাস টাকার রসিদ বই জমা দিচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ। তাঁকে ঘিরে যখনই কর্তৃপক্ষ কড়া হতে শুরু করেন, তখনই তিনি হঠাৎ 🌳করে পালিয়ে গিয়েছেন বলে খবর। চুরির জিনিস নিয়ে পালানোর সময় তাঁকে মন্দিরের অপর এক কর্মী আটকাতেও যান, এবং জিনিস ফেরত দিতে বলেন, বলে বহু মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। তবে ওই কর্মীকে মুরলীধর প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ। তথ্য বলছে, নিমাই চাঁদ যাদবের ছেলে মুরলীধর দাস মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের রাউগঞ্জ ভাসার শ্রীরাম কলোনির বাসিন্দা।
এদিকে, মন্দিরের পিআরও রবিলোচন দাস বলছেন, এখনও তাঁরা জানেন না যে, ঠিক কত টাকা প্রণামী হিসাবে মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে সন্দেহভাজন মুরলীধর জমা করেছেন। গোটা বিষয়টি মন্দির কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখবে, বলে জানানো হয়েছে। আগেও ইসকন মন্দিরে এমনই একটি চুরির ঘটনা ঘটে। রবি লোচন দাস উল্লেখ করেছেন যে সৌরভ নামে একজন ব্যক্তিও অনুদানের টাকা এবং একটি রসিদ বই নিয়ে সেবার পালিয়ে গিয়েছিলেন, 🃏কিন্তু তাঁর কাছ থেকে এগুলো উদ্ধার করার আগেই তিনি মারা যান।