উত্তর প্রদেশের লখনউয়ে ব্যাঙ্কে চুরির ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে তাদের ধরা সহজ ছিল না। পালানোর জন্য তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তখন দুপক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। ঘটনায় পুলিশের গুলিতে একজন আহত হয়। পরে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িতরা বিহারের গ্যাংয়ের সদস্য বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। ঘটনায় আরও একজন পলাতক। তার খোঁজ চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মালদায় ব্যাঙ্ক ডাকাতিতে মাস্টারমাইন্ড সমীর BJP নেতা! পুলিশের দাবিতে শোরগোল
উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশের লখনউ জেলার চিনহাটে ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কে এই বড় চুরির ঘটনা ঘটে। চার জন দুষ্কৃতী ব্যাঙ্কের দেওয়ায় ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। তারপর ৩০ টিরও বেশি লকার ভেঙে কোটি কোটি টাকার নগদ, গয়না এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে। জানা গিয়েছে, চুরির জন্য ব্যাঙ্কের আড়াই ফুট দেওয়াল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে দুষ্কৃতীরা। ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (পূর্ব অঞ্চল) শশাঙ্ক সিং জানান, চুরির পর পালানোর চেষ্টা করছিল চোরেরা। লাউলাই গ্রামের কাছে পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় তারা ধরা পড়ে। সেই সময় অরবিন্দ কুমার নামে দুষ্কৃতীদের মধ্যে একজন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তখন পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। ঘটনায় ওই দুষ্কৃতী আহত হয়। তার দুই সহযোগী বলরাম বিন্দ এবং কৈলাশ কুমার তখন পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের ভিতরে প্রবেশ করার জন্য তারা বৈদ্যুতিক কাটার ব্যবহার করেছিল। এর মাধ্যমে দেওয়াল কেটে তারা ভিতরে প্রবেশ করেছিল। যদিও অ্যালার্ম না থাকায় তারা নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধরা পড়েনি। তবে সিসিটিভিতে চুরির দৃশ্য ধরা পড়ে। জানা যায়, ব্যাঙ্কের ভিতরে প্রায় দু ঘণ্টা ধরে অভিযান চালায় চোররা। মজার বিষয় হল, তারা ১২ লক্ষ টাকা নগদে হাত দেয়নি। বিষয়টি প্রথম নজরে আসে একজন প্রতিবেশী দোকানদারের। তিনি দেওয়াল ভাঙার বিষয়টি দেখার পর ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে জানান। এরপরে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।তখন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং একটি ডগ স্কোয়াড সহ পুলিশের একটি দল। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন ব্যক্তি লকার খুলতে বৈদ্যুতিক কাটার ব্যবহার করছে। মোট চারজনকে সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি চুরি হওয়া সোনা এবং অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।