ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্যার🧔িফ যুদ্ধের মধ্যেই আপাতত অনেকটাই স্বস্তি পেল ভারতে তৈরি জেনেরিক ওষুধ উপাদনকারী ক্ষেত্র। কারণ, শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, এখনই ভারতীয় জেনেরিক ওষুধের উপর পালটা আমদানি শুল্ক আরোপ করছে না মার্কিন প্রশাসন। টাইমস✅ অফ ইন্ডিয়া অনুসারে - মনে করা হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী ভারতের জেনেরিক ওষুধের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
যদিও ইতিধ্য়েই ভারত-সহ প্রায় ৬০ দেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্য়ের উপর ২৭ শতাংশ ট্যারিফ বা পালটা আমদানি কর আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট দেশগুলিত💙ে যে সমস্ত মার্কিন পণ্য আমদানি🐻 করা হয়, সেই সমস্ত পণ্যের উপর ধার্য করা উচ্চ আমদানি শুল্কের পালটা হিসাবেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
শিল্পমহলের একাংশ বলছে, জেনেরিক ওষুধে এই ট্যারিফ ছাড় আদতে ভারতের বড় জয়। আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত থেকেই প্রমাণিত যে 𒐪বিশ্ব বাজারে ওষুধ সরবরাহ করার ক্ষেত্রে ভারতীয় উৎপাদন ব্যবস্থা আদতে একটি শক্তিশালী ভিত্তিতে পরিণত হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন ইন্ডিয়ান ফার্মাসিউটিক্যাল অ্য়ালায়েন্স (আইপিএ)-এর সম্পাদক সুদর্শন জৈন। তিনি বলেন, সারা বিশ্বে ভারতের জেনেরিক ওষুধের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়🐠েছে বলেই মার্কিন প্রশাসন এর উপর কোনও পালটা শুল্ক চাপায়নি।
সুদর্শন জৈন বলেন, জেনেরিক ওষুধ রোগ নিরাময়ে সমান 🎀কার্যকরী হওয়া সত্ত্বেও দামে অনেক সস্তা হয়। ফলে, সাধারণ মানুষ এর দ্বারা ভীষণভাবে উপকৃত হয়। এই ওষুধ জনস্বাস্থ্য উন্নত করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এব𓆏ং জাতীয় নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করে।
তিনি জানান, 'ভারত ও আমেরিকার মধ্য়ে দ্বিপাক্ষি🔯ক বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্রমশ আরও দৃঢ় হচ্ছে। এবং এক্ষেত্রে ওষুধ শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।'
সুদর্শন মনে করেন, ভারত বিশ্বের নানা দেশে লাগাতা♋র কম দামি ওষুধ সরবরাহ করে চলেছে। তাতে সারা বিশ্বের মানুষই উপকৃত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী দিনেও ভারতীয় ওষুধ উৎপাদন ক্ষেত্র আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাবে। এবং সকলেই যাতে সস্তায় নির্ভরযোগ্য ও ভালো ওষুধ পেতে পারে, সেই ব্যবস্থা 🦄অব্যাহত রাখবে। প্রসঙ্গত, আইপিএ-র ছাতার তলায় ২৩টি ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা রয়েছে।
ফার্মেক্সিল সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান ও কিলিচ ড্রাগস-এর ডিরেক্টর ভাবিন মুকুন্দ মেহতা মনে করেন, আমেরিকার এই সিদ্ধান্তের ফল🌳ে ভারতীয় জেনেরিক ওষুধ উৎপাদন শিল্প বিরাট লাভবান হবে।
তিনি বলেন, 'ভারত আমেরিকায় ৮৭০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের ওষুধ রফতানি করে। বদলে আমেরিকা থেকে আমদানি করে মাত্র 🌄৮০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের ওষুধ আমদানি করে। ফলে এক্ষেত্রে সবদিক থেকেই ভারতের লাভ হচ্ছে। এবং এর ফলে জীবনদায়ী ওষুধও সস্তায় মানুষের হাতে তুলেꦦ দেওয়া সম্ভবপর হবে।'