'দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।'বিনায়ক দামোদর সাভারকারকে নিয়ে বক্তব্যের জন্যে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে সতর্ক করেছে সুপ্রিম কোর্ট।পাশাপাশি ভারতীয় রাজনীতিবিদ তথা স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনায়ক দামোদর সাভারকারকে নিয়ে 'অবমাননাকর' মন্তব্যের জন্যে নিম্ন আদালতের সমনও স্থগিত করেছে শীর্ষ আদালত। (আরও পড়ুন: পহেলগাঁওতে হত্যালীলা ইসলামি জঙ্গিদের, এর চরম ফল ভুগতে হবে পাকিস্তানি হিন্দুদের?)
আরও পড়ুন-'ছেলের আত্মত্যাগ বাঁচিয়ে রেখেছে!' হিন্দুদের বাঁচাতে মৃত্যু আদিলের, গর্বিত কাশ্মীরি বাবা
শুক্রবার বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি মনমোহনের বেঞ্চ কংগ্রেস নেতাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, মহারাষ্ট্রে বিনায়ক দামোদর সাভারকরকে পুজো করা হয়। শীর্ষ আদালত বলেছে, 'রাহুল গান্ধী যদি নিজের দাবিতে অটল থাকেন, তাহলে তাঁকে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিরুদ্ধে কোনও বক্তব্য আমরা বরদাস্ত করব না। এরপর কেউ বলবে যে মহাত্মা গান্ধী 'ব্রিটিশদের দাস' ছিলেন। এরপর রাহুলের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে সুপ্রিম কোর্ট বলে, 'আপনার মক্কেল কি জানেন, মহাত্মা গান্ধী ব্রিটিশ ভাইসরয়কে সম্বোধন করার সময় 'আপনার বিশ্বস্ত দাস' বলে উল্লেখ করেছিলেন? তাই যাঁরা আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছে, তাঁদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করাকে আদালত মেনে নেবে না। সাভারকার সম্পর্কে রাহুল গান্ধীর মন্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীনের পরিচয় দেয়।' তবে রাহুলের মন্তব্যকে আদালত স্বতঃপ্রণোদিতভাবে বিবেচনা করবে আদালত। (আরও পড়ুন: '৩ দশক ধরে নোংরা কাজ করে আসছি', ব্রিটিশ মিডিয়াতে অকপট স্বীকারোক্তি পাক মন্ত্রীর)
রাহুলের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৫৩এ এবং ৫০৫ ধারায় মামলা দায়ের করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের আইনজীবী নৃপেন্দ্র পাণ্ডে। তবে শুক্রবার কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যক্রম স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ঘটনার সূত্রপাত ২০২২ সালের নভেম্বরে। সেই সময় মহারাষ্ট্রের আকোলায় 'ভারত জোড়ো যাত্রা' চলাকালীন রাহুল সাভারকরকে 'ব্রিটিশদের দাস' বলেছিলেন। এবং তিনি ব্রিটিশদের কাছ থেকে পেনশন নিতেন বলেও দাবি করেছিলেন। এরপরেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। ওই আইনজীবী রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল। তাঁর দাবি ছিল যে, রাহুল গান্ধী ইচ্ছাকৃতভাবে সাভারকরকে অপমান করেছেন।
আরও পড়ুন: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পরে পাকিস্তানকে 'বাঁচানোর চেষ্টা'! গ্রেফতার বিধায়ক
তবে এদিন আদালতে শুনানির সময় গড়হাজির ছিলেন রাহুল গান্ধী। কারণ তিনি এই মূহুর্তে জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় রয়েছেন। মঙ্গলবার পহেলগাঁওতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ২৬ জনের। আহত হয়েছেন অনেকেই। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন রাহুল। এই হামলায় দায় স্বীকার করেছে নিষিদ্ধ পাকিস্তানি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার শাখা 'দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট'। জড়িত পাঁচ বন্দুকধারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের খোঁজ চলছে। ভারত এই হামলার জবাবে প্রাথমিকভাবে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ভিসা স্থগিতকরণ এবং সিন্ধু জল চুক্তি বাতিল। অন্যদিকে, পাকিস্তান ভারতীয় বিমানের জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে এবং সিমলা চুক্তি স্থগিত করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।