নয়াদিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীতে তৃণমূল কংগ্রেসের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি রওনা দিল। আজ, শুক্রবার তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির পক্ষ থেকে নয়াদিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীতে যাচ্ছে একটি প্রতিনিধি দল। আজই তাঁরা পৌঁছবে নয়াদিল্লি। তৃণমূল কংগ্রেসের পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টিরও পৃথক প্রতিনিধিদল আজ যাচ্ছে।
কেন এই সফর তৃণমূল কংগ্রেসের? জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ থাকা সত্ত্বেও বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ করা হয়েছে মানুষজনকে। তাই জাহাঙ্গীরপুরীতে নয়াদিল্লি পুরসভার অভিযানের তদন্ত করতে যাচ্ছেন তাঁরা। হাঁসখালি কাণ্ডে বিজেপি পাঠিয়েছিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। এবার নয়াদিল্লির মানুষের উপর এমন বর্বর আক্রমণ নেমে আসায় তৃণমূল কংগ্রেস পাঠাল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। রাজধানীর বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় দলের মহিলা সাংসদদের পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কারা থাকছেন এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমে? সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের নেতৃত্বে এই টিম নয়াদিল্লি যাচ্ছেন। সেখানে থাকছেন অর্পিতা ঘোষ, অপরূপা পোদ্দার, মানষরঞ্জন ভূঁইয়া, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বৃহস্পতিবার রাতে সাংসদ শতাব্দী রায় পৌঁছেছেন নয়াদিল্লিতে। এখানে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলা হবে। এই ঘটনা কেন ঘটল? ঘটনার নেপথ্যে কারা? তা জানা হবে এবং রিপোর্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেবেন তাঁরা।
কী বলছেন টিমর সদস্যরা? এই বিষয়ে অপরুপা পোদ্দার বলেন, ‘আমাদের নেত্রী পাঠিয়েছেন। জঘন্য ঘটনা ঘটেছে। সংবাদমাধ্যমেই তা দেখেছি। বিষয়টি দেখে তারপর মন্তব্য করব।’ অর্পিতা ঘোষ বলেন, ‘আমরা গিয়ে জানতে চাইব, এই ঘটনা কেন ঘটল? বুলডোজার দিয়ে বাড়ি–ঘর কেন ভাঙা হল? সুপ্রিম কোর্টের স্টে অর্ডার থাকা সত্ত্বেও কেন ভাঙা হল বাড়িঘর?’ সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘খুবই মারাত্মক ঘটনা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে। একতরফা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটা আমরা কখনই সমর্থন করি না।’