1 মিনিটে পড়ুন Updated: 19 Mar 2025, 12:46 PM ISTSahara Islam
Sunita Williams:অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন সুনীতা উইলিয়ামস। পিতৃকুলের শিকড়ে সুনীতার যোগ ভারতে। এনডিটিভির এক্সক্লুসিভ খবর, তাই তিনি পৃথিবীতেই ফিরতেই আনন্দে আত্মহারা সুনীতার পৈতৃক গ্রাম ঝুলাসান। গুজরাটের এই গ্রামের সাধারণ মানুষ পথে নেমে এসেছেন উদযাপন করতে।
ভারতে আসলেই সামোস পার্টি! উৎসবে মাতোয়ারা সুনীতার পৈতৃক গ্রাম (PTI Photo)(PTI03_19_2025_000040B)
ঘরের মেয়ে পাড়ি দিয়েছিল মহাবিশ্বে। মাত্র ৮ দিনের জন্য। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা বাড়তে বাড়তে ৯ মাস পেরিয়ে যায়। ফলে বাড়ছিল উদ্বেগ। অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন সুনীতা উইলিয়ামস। পিতৃকুলের শিকড়ে সুনীতার যোগ ভারতে। এনডিটিভির এক্সক্লুসিভ রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সুনীতা পৃথিবীতেই ফিরতেই আনন্দে আত্মহারা সুনীতার পৈতৃক গ্রাম ঝুলাসান। গুজরাটের এই গ্রামের সাধারণ মানুষ পথে নেমে এসেছেন উদযাপন করতে। তাঁদের দেখা গিয়েছে আতশবাজি ফাটিয়ে উৎসবে মেতে উঠতে।
এনডিটিভিকে সুনীতার ভ্রাতৃবধূ ফাল্গুনী পাণ্ডিয়া বলছেন, 'একদম সঠিক কোনও তারিখ বলতে পারছি না। তবে এটা নিশ্চিত, অতি শিগগিরিই ও ভারতে আসবে। এই বছরের মধ্যেই।' আর সুনীতা গ্রামে ফিরলেই হবে সামোসা পার্টি। এত কিছু থাকতে সামোসাই কেন? আসলে হৃদয়ে ভারতীয়ত্বের ছোঁয়ায় সুনীতা সামোসার বিরাট ফ্যান। মহাকাশ স্টেশনেও তাঁর খাদ্য তালিকায় ছিল এই সামোস বা সিঙ্গারা। আর তাই তিনি এদেশে এলে পার্টি দেওয়া হবে সামোসারই। বলছেন ফাল্গুনী।তবে সুনীতা দেশে ফেরার আগে তাঁর পরিবারও ভারত থেকে যেতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। অথবা অন্য কোথাও। একসঙ্গে ছুটি কাটাতে। ফাল্গুনী বলছেন, 'আমরা একসঙ্গে ছুটি কাটাতে যাওয়ারও পরিকল্পনা করে রেখেছি। সবাই মিলে একসঙ্গে সময় কাটাতে মুখিয়ে রয়েছি।' সেই সঙ্গে জানান, 'ফ্লোরিডার সৈকতে বেলুনে চড়ে সুনীতাদের নেমে আসার দৃশ্যটি তাঁদের মুগ্ধ করেছে। ওই দৃশ্যটা যেন বিমূর্ত।'
সুনীতা কি আবার মহাকাশে যাবেন নাকি প্রথম মঙ্গলে যাবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে ফাল্গুনী বলেন, এটি তাঁর পছন্দ। সুনীতা সকলের জন্য একজন আদর্শ। তিনি আরও বলেন, সুনীতা উইলিয়ামসের জন্মদিনে জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টি কাজু কাটলি পাঠিয়েছিলেন। ১৯ সেপ্টেম্বর মহাকাশে তাঁর ৫৯তম জন্মদিন পালন করেছিলেন সুনীতা। পাশাপাশি ফাল্গুনী জানান, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভে গিয়েছিলেন তিনি।সেই ছবি দেখতে চেয়েছিলেন সুনীতা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৩৫ নাগাদ শুরু হয় সুনীতাদের ফেরার যাত্রা। এরপর বুধবার আটলান্টিক মহাসাগরে নিরাপদে অবতরণ করানো হয় তাঁদের। গোটা ঘটনার লাইভ সম্প্রচার করে নাসা। সমুদ্রে অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত হয় মার্কিন নৌসেনার বোট। সেখান থেকে হাইড্রোলিক পদ্ধতিতে জাহাজে তোলা হয় সুনীতাদের। এরপর ড্রাগন ক্যাপসুল থেকে ৮টে ২২ নাগাদ হাসিমুখে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোর। সেখান থেকে তাঁরা রওনা দেন হিউস্টন জনসন স্পেস সেন্টারের উদ্দেশে। আগামী কয়েকদিন এখানেই থাকবেন মহাকাশচারীরা।