সমতল থেকে পাহাড়—আগের থেকে পরিস্থিতি অনেকটা পাল্টেছে। সেখানে বিজেপি ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে যাচ্ছে। আর সেই জায়গা নিয়ে নিচ্ছে স্থানীয় কোনও রাজনৈতিক দল অথবা তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুললেন বিজেপির শরিক দল জিএনএলএফ। আর এই অভিযোগ তুলে গতকাল বিজেপি সমর্থিত জিএনএলএফ বিধায়ক নীরজ জিম্বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন। ওই চিঠিতে তাঁর অভিযোগ, গোর্খারা এখন বিজেপির উপর আস্থা হারাচ্ছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে। আর তাতে বেশ অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছেন বিজেপি নে🍌তারা।
এদিকে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর পাহাড় ইস্যুতে আবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। কিন্তু তাতে পাহাড়ের মানুষের মনের চিঁড়ে ভেজেনি। একবছর পর ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে জ😼িএনএলএফ বিধায়ক নীরজ জিম্বার চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছে অনেককে। স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে অনেকদিন ধরে সরব পাহাড়ের বাসিন্দারা। পাহাড়ে গিয়ে বিজেপির নেতারা সেই দাবি পূরণের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরপুকুরে নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করে অটো চালক, স্কেচ করে গ্রেফতার করল পুলিশ
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বলেছিলেন, গোর্খাদের স্বপ্ন, আমার স্বপ্ন। কিন্তু সেই স্বপ্নপূরণ হয়নি। এমনকী বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও আলোচনা এখনও শুরু করতে পারেনি। তাই আবার সরব হয়েছে বিজেপির শরিক দল জিএনএলএফ। আগেও কয়েকবার তারা কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়েছিল। এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিলেন বিজেপির সমর্থিত দার্জিলিংয়ের জিএনএলএফ বিধায়ক। যা নিয়ে এখন চর্চা তুঙ্গে। উল্লেখ্য, সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্👍ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ। তারপর সাংসদ সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, পাহাড়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।
এই কথায় পাহাড়বাসীর হৃদয়ে কোনও প্রভাব পড়েনি বলে করেন দাবি দার্জিলিংয়ের জিএনএলএফ বিধায়ক। সে কথা তিনি প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন বলে সূত্রের খবর। এই চিঠি পাঠানো নিয়ে সংবাদমাধ্যমে নীরজ জিম্বা বলেন, ‘গোর্খাদের স্বপ্ন আমার স্বপ্ন’। এটি একটি পবিত্র প্রতিশ্রুতি ছিল। তাই বিষয়টি নিয়ে অবিলম্বে আলোচনা শুরু হওয়া উচিত। বিজেপির প্রতি গোর্খা সম্প্রদায়ের ক্ষোভ বাড়ছে। বছরের পর বছর বিজেপির উপর রাখা আস্থা এখন ভেঙে গিয়েছে। গোর্খারা ধৈর্য্য হারিয়েছেন। রাজনৈতিক সমাধান হয়নি বলেই এখানে 🅷অজানা শক্তি সক্রিয় হয়ে উঠছে। অবিলম্বে এটি মোকাবিলা করা উচিত।’