উপ নির্বাচনের আগে ফের গোষ্ঠী কোন্দলে অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অলিফা আহমেদের ভোট প্রচার চলাকালীন দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ল দুপক্ষ। এরফলে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় প্রচার। শনিবার কালীগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত হাটগাছা পঞ্চায়েত এলাকায় দলের নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। ঘটনার জেরে আহত হয়েছেন দলের একাধিক কর্মী। (আরও পড়ুন: মার খেতে খেতে নাজেহাল, বালোচ বিদ্রোহীদের 'নাম বদল' পাকিস্তানের, দাবি ভারত যোগের)
আরও পড়ুন: কেন আলিফা আহমেদকে প্রার্থী করল তৃণমূল? বায়োডাটায় লুকিয়ে আছে আসল রহস্য
মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর শনিবার প্রথম প্রচারে বেরিয়েছিলেন আলিফা। প্রচার শুরু করেন হাটগাছা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ।হুডখোলা গাড়িতে করে জনসংযোগে বেরিয়েছিলেন তিনি। এদিন সকালেই নির্দিষ্ট রুট অনুযায়ী প্রচার চালানোর পরিকল্পনা কথা জানিয়েছেন প্রার্থী। সেই মতোই তিনি প্রচারে বেরিয়ে পড়েন। এদিন নির্বাচনী প্রচার শুরু হয় হাটগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের শেওড়াতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে। পরে হাটগাছা, নওয়াপাড়া, বসরখোলা, তেঘড়ি, রাউতারা, অনন্তপুর, হয়ে কামারি পার্টি অফিসে শেষ হয় প্রচার। বসরখোলা মোড়ে গিয়ে এই রুট ভেঙে প্রার্থীকে অন্য পথে নিয়ে যান প্রয়াত বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদ গোষ্ঠীর এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। তবে তাতে আপত্তি জানান, অঞ্চল সভাপতি হাফিজুল শেখ ও তাঁর সমর্থকরা। তখন ওই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও তাঁর অনুগামীরা তাঁদের উপর চড়াও হন। (আরও পড়ুন: পাক গুপ্তচরবৃত্তির জাল ছড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গেও, নয়া মোড় NIA-র তদন্তে, ঘনীভূত রহস্য)
আরও পড়ুন: আরও আগে থেকে করছে! পাক গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার কাসিমের দাদা হাসিন
পরে আসাচিয়া এলাকায় প্রার্থীর গাড়ি পৌঁছতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে। উল্লেখ্য, এই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে দল বিরোধী কাজের অভিযোগ উঠেছিল গত লোকসভা নির্বাচনে। উত্তেজনার জেরে কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় প্রার্থী আলিফার প্রচার। এমনকী, বিধায়ক ঘনিষ্ঠ নেতাদের একটি চার চাকা গাড়ি ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে গিয়ে বেশ কয়েকজনের চোট লাগে। (আরও পড়ুন: ইদ থেকে রথযাত্রা, জুনে সব মিলিয়ে ১২ দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ, দেখে নিন ছুটির তালিকা)
আরও পড়ুন: জঙ্গি নেতা লকভি পাক জেলে বন্দি, বাইরে মা হয়েছেন তাঁর স্ত্রী: ওয়াইসি
এবিষয়ে তৃণমূল প্রার্থী বলেন, তৃণমূল একটি বড় পরিবার। তাতে ছোটখাট কথা কাটাকাটি হতেই পারে। এমন ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি হয়। সব মিটিয়ে ফের প্রচার হয়েছে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দেবব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, দলের নির্দেশেই প্রচারের রুট ঠিক হয়েছিল। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে তা ভাঙলে, তা দলের স্বার্থে নয়। তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, কালীগঞ্জ ব্লকে দীর্ঘদিন ধরেই দুই গোষ্ঠীর টানাপোড়েন চলছে। একদিকে জেলা সভানেত্রী মহুয়া মৈত্র ঘনিষ্ঠ নেতৃত্ব, অন্যদিকে প্রয়াত বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নতুন নয়। উল্লেখ্য, গত লোকসভা ভোটে হাটগাছ পঞ্চায়েত থেকে তৃণমূল ১২ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল।