হাওড়ার মঙ্গলাহাটে আবার বিধ্বংসী আগুন লাগল। আজ রবিবাসরীয় সকালে মডার্ন মঙ্গলাহাট এলাকার একটি চারতলা বাড়ির উপরের তলায় আগুন লেগে যায়। ওই আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে রাতারাতি কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। বিধ্বংসী আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৮টি ইঞ্জিন। আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয় দ্রুতগতিতে। হাওড়া থানার অন্তর্গত মঙ্গলাহাট এলাকার মডার্ন হাট বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে। সকাল ৯টা নাগাদ এই হাটের ব্যবসায়ীরা প্রথমে উপর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন। আর তখনই স্থানীয় বাসিন্দারা হাওড়া থানায় খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৮টি ইঞ্জিন।
এদিকে আগুনের লেলিহান শিখায় আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়। এখানে প্রায় তিন হাজার ব্যবসায়ী ব্যবসা করেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় আগুন আয়ত্তে আনার কাজ। তবে এলাকা খুব ঘিঞ্জি হওয়ায় রীতিমতো বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। তবে এই আগুন তাঁরা নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। এই ঘটনা নিয়ে ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, সকাল ৯টা নাগাদ হাট শুরু হয়। আর তখনই দোকানদার এবং স্থানীয় বাসিন্দারা আগুনের লেলিহান শিখা এবং কালো ধোঁয়া দেখতে পান। তার সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় দমকল এবং পুলিশে। আগুন প্রথম লাগে মডার্নহাট বিল্ডিংয়ে। তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে।
আরও পড়ুন: রাতারাতি ৩৬ দিনমজুরের কর্মসংস্থান ঘটল, ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ হেল্পলাইনে ফোনের জের
অন্যদিকে মঙ্গলাহাটে ছোট ছোট প্রায় ২০০টির বেশি দোকান আছে। সেখানে একাধিক গোডাউনও আছে। তবে কেমন করে আগুন লাগল সেটা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে মনে করছেন দমকল কর্মীরা। এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন দমকল কর্মীরা। দমকল সূত্রে খবর, মডার্ন হাট বিল্ডিংয়ে একটি ঘরে আগুন লেগেছিল। এখানে জলের সংযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ছিল। উপরতলার জলাধারও ছিল ফাঁকা। এমনকী অগ্নিনির্বাপণের কোনও ব্যবস্থাও ছিল না বলে উঠছে অভিযোগ। তার জেরে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের। মুখে অক্সিজেন মাস্ক পরে আগুন নেভাতে হয়।
তাছাড়া মঙ্গলাহাটে প্রচুর দোকান রয়েছে যেগুলিতে মজুত থাকে জামাকাপড়। বাঁশ ও কাঠের তৈরি দোকানগুলিতে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়ে ছিল। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, দমকলের গাড়িগুলিও ভিতরে ঢুকতে পারেনি প্রথমে। তাই দোকানদারদের দোকান বন্ধ রাখার অনুরোধ করে দমকল। তৃণমূল কংগ্রেসের হাওড়া জেলার সভাপতি অরূপ রায় বলেন, ‘কেমন করে আগুন লাগল তা পুলিশ ও দমকল কর্মীরা খতিয়ে দেখছেন। এই ঘটনার পিছনে কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ধরা পড়লে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’