তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে মাত্র দু’টি কেন্দ্রের উপনির্বাচন। এক, নদিয়ার কালীগঞ্জ। দুই, কেরলের নীলাম্বুর। বাংলার কালীগঞ্জ বিধানসভা আসন তৃণমূল কংগ্রেসের হাতেই ছিল। উপনির্বাচনেও আবার সেই আসন তৃণমূল কংগ্রেসের হাতেই থাকবে বলে দাবি রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের। আর ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন আছে। তার আগে এই উপনির্বাচনের ফলাফল দিয়ে সাংগঠনিক শক্তি পরখ করে নেবে ঘাসফুল শিবির। এই আবহে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এই একটি কেন্দ্রে নির্বাচনের জন্য আপাতত ১৮–২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে আগামী ১৯ জুন কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন। বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদের প্রয়াণে কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে। এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্য, এই উপনির্বাচনে যত বেশি সম্ভব ভোট নিজেদের বাক্সে নিয়ে আসা। আসলে উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে বড় ধাক্কা দেওয়ার কৌশল তৃণমূল কংগ্রেসের। একইসঙ্গে দলের নেতা–কর্মীদের চাঙ্গা করা। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে এসে যাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর যেটা চোখে লাগার মতো বিষয় সেটা হল, একটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য এত সংখ্যক বাহিনী মোতায়েন।
আরও পড়ুন: ‘তুমি ভুল সুরে গাইছো’, গায়ক ইন্দ্রনীলকে সংশোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী নজরুল জয়ন্তীতে
অন্যদিকে যে কোনও উপনির্বাচনে মানুষের ভোট প্রদানের হার স্বাভাবিক নির্বাচনের তুলনায় কম থাকে। কিন্তু কালীগঞ্জের ভোটাররা যাতে ভোটের দিনে বুথে যান এবং নিজের ভোট নিজে দেন তার ব্যাপক প্রচার চালাবে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে ৫৩.৩৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন নাসিরুদ্দিন আহমেদ। বিজেপির প্রার্থী পান ৩০.৯১ শতাংশ ভোট। সুতরাং ব্যবধানটা ছিল বেশ অনেকটাই। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাখ্যা, হাজার চেষ্টা করেও এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জিততে পারবে না বিজেপি।
এখনও অবশ্য কোনও দলই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। কংগ্রেস–সিপিএম জোট করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে নাকি আলাদা আলাদা প্রার্থী দেবে সেটাও ঠিক হয়নি। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আলিফা আহমেদ এবং তারান্নুম সুলতানা মীরের নাম প্রার্থী হিসাবে চর্চিত হচ্ছে। এঁদের মধ্যে একজন প্রার্থী হতে পারেন বলে সূত্রের খবর। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নাসিরুদ্দিন আহমেদ ১ লক্ষ ১১ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে তিনি তাঁর নিকটবর্তী বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ ঘোষকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন। এবার আবার টানটান লড়াই হবে।