ভারতের নদীগুলিতে ডলফিন নিয়ে সম্প্রতি সমীক্ষা চালিয়েছে ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। তাতে মালদায় গঙ্গা ও ফুলহার নদীতে কমপক্ষে ১৫০টি ডলফিনের সন্ধান মিলেছে। এবার এই ডলফিনগুলিকে সংরক্ষণে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে মালদার বন বিভাগ। বিশেষ করে মৎস্যজীবীদের জা☂লে ডলফিনগুলি যাতে ক্ষত-বিক্ষত না হয়, তার জন্য বিশেষভাবে সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ। গঙ্গা তীরবর্তী চারটি ব্লকে এ নিয়ে প্রচার চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: যমুনাতে মাছ 🌸ধরতে গিয়ে জালে ডলফিন, রান্না করে খেলেন মৎস্যজীবীরা
উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথমে ডলফিন নিয়ে মালদা জেলায় নদীগুলিতে প্রথমবার সমীক্ষা হয়েছে। প্রথমবারের সমীক্ষাতেই ১৫০টি ডলফিনের সন্ধান মেলায় খুশি বন বিভাগ। তবে এই ডলফিনগুলি ꦓসংরক্ষণ করাই বন বিভাগের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার জেলায় প্রশাসনিকস্তরে গঙ্গা কমিটি নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকেই ডলফিনের পরিসংখ্যানের বিষয়টি উঠে আসে। এর পাশাপাশি সেগুলিকে কীভাবে সংরক্ষণ করা যায় তানিয়েও আলোচনা হয়েছে।
এ বিষয়ে মালদার ফরেস্ট ডিভিশনাল অফিসার জিজু জেসপার জানিয়েছেন, জেলার এই দুটি নদীতে প্রায় একশো কুড়ি থেকে দেড়শোটি ডলফিন পাওয়া গিয়েছে। মার্চ মাসে ওয়াইল্ড ল♌াইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে মালদা জেলায় ডলফিনের অস্তিত্বের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। সাধারণত ডলফিন সংরক্ষণে সরকারের কিছু প্রকল্প রয়েছে। সেগুলি নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচাꦑরের পাশাপাশি ডলফিন নিয়ে আরও সমীক্ষা করা হবে বলে বন বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে।
তবে সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে মৎস্যজীবীদের সূক্ষ্ম জাল নিয়ে। কারণ বর্ষা ঢুকতে আর বেশি দেরি নেই। আর বর্ষা এলেই মৎ𒁏স্যজীবীরা সূক্ষ্ম জাল ব্যবহার করে মাছ ধরে থাকেন। বিশেষ করে ইলিশ মাছ ধরার জন্য কালিয়াচক-৩ নম্বর ব্লকের মৎস্যজীবীরা সুক্ষ্ম জাল ব্যবহার করে থাকেন। সেই জালে আটকে গিয়েছে ডলফিনের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। তাই এনিয়ে প্রচার চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মালদার গঙ্গা তীরবর্তী কালিয়াচক-১, কালিয়াচক-৩ এবং মানিকচক ও রতুয়া-১ নম্বর ব্লকে এনিয়ে প্রচার চালানোর উদ্যোগ নেওয🎶়া হয়েছে।