মালদায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা খুনের ঘটনায় এখন সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। দুলাল সরকার হত্যাকাণ্ডে বিহার থেকে সুপারি কিলার নিয়ে আসা হযেছিল বলে সূত্রের খবর। এই আবহের মধ্যেই মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁর বাড়ির সামনে আজ, শুক্রবার মিলেছে হুমকি পোস্টার, গুলি, থান, ধুপকাঠি, সাবান–সহ অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার সমস্ত সামগ্রী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার আলোড়ন পড়ে গিয়েছে নওদা ব্লকের মধুপুরে। আর তারপরই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ছবিতে লাল💃 রঙ দিয়ে কেটে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মনিরুল শেখ তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য। আজ শুক্রবার সকালে তাঁর পুরনো বাড়ির সামনে এই ভয়ংকর কাণ্ড গ্রামবাসীদেরᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ নজরে আসে। যা দেখে শিউরে ওঠেন অনেকে। সেখানে রাখা হুমকি পোস্টার থেকে শুরু করে গুলি, থান, ধুপকাঠি, সাবান–সহ অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার সামগ্রী মেলে। এই ঘটনা দেখে খবর ♐দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে সেখান থেকে সমস্ত সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনার নেপথ্যে আছে সেটা খতিয়ে দেখছে নওদা থানার পুলিশ। ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মনিরুল শেখের ছবির তলায় লেখা ‘মৃত্যুর পর আল্লার কাছে প্রত্যাবর্তন’। নীচে রাখা প্যাকেট। তার মধ্যে গুলির খোল এবং রক্তাক্ত বুলেট ছিল। মুর্শিদাবাদে এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বাড়ির সামনে হুমকি পোস্টার দেখে আতঙ্কিত তাঁর পরিবার। ভয়ে সাবধানে পা ফেলছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: দেউচা–পাঁচামির কাজ কতদূর? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বীরভূমে এলেন মুখ্যসচিব–ডিজি
অন্যদিকে গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য মণিরুল ইসলামের নামে পড়েছে হুমকি পোস্টার। আর সেখানে পড়ে রয়েছে কিছু ওষুধ এবং গুলির খোলা। এই ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে সেখানে কয়েকদিন আগে তার পাশের গ্রাম থেকে গ্রেফতার হয়েছে জঙ্গি। এই ঘটনার নেপথ্যে কি সুপারি কিলার রয়েছে? কেউ কি সুযোগ বুঝে মজা করেছে? তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নে𝓰তাদের ক্ষেত্রেই এমন কেন ঘটছে? মালদার পাশের জেলা মুর্শিদাবাদ হওয়া পুলিশ এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে।
এছাড়া এই ঘটনা সকলের সামনে আসায় আজ সকাল থেকে গ্রামের মানুষজন তা নিয়েই আলোচনা করতে থাকেন। মনিরুল শেখ অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা। এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁর নিবিড় যোগাযোগ। এই বিষয়ে পঞ্চায়েত সদস্য মনিরুল শেখ বলেন, ‘আমার বাবা–মা একসময় পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছিলেন। আমি এখন মধুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য। আমাদের শত্রু বলতে কেউ নেই। কিন্তু কে বা কারা এমন হুমকি দিল সেটা আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না। তবে আতঙ্কিত আমার পরিবার। কালো কাপড়ে জড়িয়ে গুলি, গুলির খোল, তার সঙ্গে আমার ছবি, আম𝄹ায় কেমন করে মারা হবে, কেমন করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে, মৃত্যুর পর মুসলিমদের যা লাগে—আতর, গোলাপ, সব প্যাক করে দিয়ে গিয়েছে। আর লিখে দিয়েছে এটা শেষ সুযোগ।’