আজ, শনিবার নলবনে বাঁধের উপর থেকে এক যুবকের গলাকাটা দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। আজ লেদার কমপ্লেকꦦ্স থানা এলাকায় এই ঘটনা সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করে দিয়েছে। নলবন থেকে গলাকাটা অবস্থায় যুবকের দেহ উদ্ধার হবে এটা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। এই যুবককে খুন করা হয়েছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হলেও এখনও ওই যুবকের পরিচয় জানা যায়নি। গলায় একাধিক আঘাতের জেরে নলবনের বাঁধ রক্তাক্ত হয়ে পড়েছিল।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ সকালে নলবনে কাজ করতে আসেন কয়েকজন কর্মী। আর তাঁরাই বাঁধের উপর যুবকের গলাকাটা দেহ দেখতে পান। এই দৃশ্য দেখে তাঁরা শিউরে ওঠেন। আর সঙ্গে সঙ্গে লেদার কমপ্লেক্স থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে যুবকের গলাকাটা দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। আর দেহের আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে থাকা জুতো, টাকার ব্যাগ, রুমাল ও🥂 বিড়ির প্যাকেট সংগ্রহ করে। পুলিশ ঘিরে রাখে গোটা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে ক্ষোভের সঙ্গে জানান, এতে তাঁরা নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন।
আরও পড়ুন: ‘পুলিশ আর একটু সংবেদনশীল হলে পারত’, এডিজি দক্ষিণবঙ্গের দাবি ওড়ালেন স্পিকার
অন্যদিকে মৃত যুবকের গলায় বেশ কয়েকটি গভীর আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। রাতেই ওই যুবককে খুন করে বেশি রাতে এখানে ফেলে যাওয়া হয়েছে। আর সকালে তা সকলে দেখতে পেয়েছেন। এখানে অনেক প্রাতঃভ্রমণকারীরাও আসেন। তাঁরাও এই ঘটনার কথা জানতে পেরে হতচকিত হয়ে পড়েন। তবে এই খুন পরিকল্পনা করেই করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। তবে এই খুনের উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয়। ওই গলাকাটা যুবকের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। আཧশেপাশের এলাকায় খোঁজখবর করার পাশাপাশি নানা থানার সঙ্গেও যোগাযোগ 📖করা হচ্ছে। ছবি পাঠানো হয়েছে।
তাছাড়া এই দেহ নলবন বাঁধে কেমন করে এল? এই প্রশ্ন এখন পুলিশকে ভাবিয়ে তুলেছে। আর তাই নলবনের হোটেল কর্মী থেকে শুরু করে স্থানীয় নানা মানুষজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেছে। নলবনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই যুবককে এখানে ফেলার সময় কারা ছিল সেটাও দেখা হচ্ছে। একজনের ছবিও স্পষ্ট হলে গোটা তদন্ত সহজ হয়ে যাবে। স্🧸থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিকেল হলেই এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়। ট𓄧হলদারি পুলিশও কমে যায়। ফাঁকা এলাকায় তাই দুষ্কৃতীরা খুন করার সাহস পাচ্ছে।