গত মার্চে রবি মরশুমে অকাল বৃষ্টির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন রাজ্যের বহু আলু চাষি। এবার বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পের আওতায় সেই সব আলু চাষিদের আর্থিক সহায়তা দেওয়াꦚ শুরু করল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার এই প্রকল্পের আওতায় টাকা ছাড়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত আবেদনকারী আলু চাষিদের ব্🎃যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক লক্ষেরও বেশি আলু চাষি এই টাকা পাবেন। আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ে মাথায় বাজ পড়েছিল, ৯ লাখꦍ চাষিকে শস্যবিমার ৩৫১ কোটি🌌 টাকা দিল রাজ্য
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আর্থিক সহায়তা হিসেবে ক্ষতিপ💞ূরণ বাবদ বাংলার শস্যবিমা প্রকল্পে ১ লক্ষ আলু চাষির জন্য ১৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আজ (২০মে) রাজ্য সরকার ‘বাংলা শস্যবিমা’ প্রকল্পের আওতায় বাংলার ১ লক্ষেরও বেশি আলু চাষিকে সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১৫৮ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান শুরু করল। আমি বাংলার সকল কৃষক ও তাঁদের পরিবার-পরিজনকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।’ মূলত, চলতি রবি মরসুমে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে যেসব কৃষকের আলু চাষে ক্ষতি হয়েছিল তাঁদের এই আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ভারী বর্ষণের ফলে ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত হয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন জেলা। তার ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের কৃষি জমি মার♋াত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার ৯ লক্ষেরও বেশꦿি কৃষককে ‘বাংলা শস্যবিমা’-র আওতায় ক্ষতিপূরণ কৃষকদের ক্ষতিপূরণ বাবদ মোট ৩৫১ কোটি টাকা দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এবার এক লক্ষ আলু চাষিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হল।
উল্লেখ্য, আগে আলু এবং আখ চাষের ক্ষেত্রে কৃষকদের প্রিমিয়াম বাবদ কিছু টাকা দিতে হত। তবে এবারই প্রথম আলু ও আখ চাষিদের এই প্রিমিয়াম দ♏িতে হয়নি। গত বছরের বাজেটেই সেকথা ঘোষণা করা হয়েছিল। তা রবি মরশুম থেকে কার্যকর হয়।
এছাড়া, নবান্ন 🌞সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলা শস্যবিমা শুরু হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত এক কোটির বেশি কৃষক ৩,৭২০ কোটি টাকারও বেশি আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী লি꧋খেছেন, ‘২০১৯ সালে চালু হওয়ার পর থেকে শুধু ‘বাংলা শস্যবিমা’ প্রকল্পেই আমাদের সরকার বাংলার কৃষকদের মোট ৩,৭২০ কোটি টাকারও বেশি আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে আগামিদিনেও আমরা বাংলার কৃষকদের পাশে এভাবেই থাকব।’