কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবির আইপিএলে খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর দুটো ম্যাচ হারলেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের প্লে অফের যাওয়ার রাস্তা কঠিন হয়ে যাবে। সাতটা ম্যাচের মধ্যে চারটি ম্যাচেই হেরেছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ফলে ১৬ পয়েন্টে পৌঁছাতে গেলে বাকি সাত ম্যাচেꦇর মধ্যে পাঁচটিতে জিততে হবে। কারণ গতবার পর্যন্ত ১৪ পয়েন্টেও প্লে অফ নিশ্চিত হলেও একাধিক দল সেই পয়েন্ট শেষ করার ফলে নেট রান✱ রেটে প্লে অফ নির্ধারিত হয়েছিল।
বটম ফাইভেই কেকেআর
পঞ্জাবের বিপক্ষে জিতলে যেখানে পয়েন্ট টে🔥বিলের শীর্ষে ওঠার সুযোগ থাকত শাহরুখ খানের দলের, সেখানে মাত্র ১১২ রান চেজ করতে না পেরে চাপে পড়ে গেল নাইটরা। এমনিতেই কেকেআর অধিনায়ক🐬 বলেই রেখেছেন তাঁরা ইডেনে হোম অ্যাডভান্টেজ পাচ্ছেন না। রাজস্থান, চেন্নাই অ্যাওয়ে ম্যাচ জেতার পর অনেকে আশা করেছিল পঞ্জাবের বিপক্ষে সহজ ম্যাচ তাঁরা জিতবে। কিন্তু কোথায় কি, তারকাদের ব্যর্থতায় নাইটরা পয়েন্ট তালিকায় বটম ফাইভেই রয়েছে।
৯৫ রানেই অলআউট কেকেআর
এই ম্যাচে ৯৫ রানেই কলকাতা ꦉনাইট রাইডার্স দল অলআউট হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত আন্দ্রে রাসেল থাকায় ༺একটা সুযোগ ছিল নাইটদের। কিন্তু মার্কো জানসেনের বল শট খেলতে গিয়ে তা উইকেটে লাগতেই মাথা নিচু হয়ে যায় কেকেআরের। কারণ ১১২ রানও তাড়া করে জিততে পারল না নাইটরা। টানা ব্যর্থতার পর রাসেলের কাছে হিরো হওয়ার সুযোগ থাকলেও তিনি ফ্লপ হয়েই সাজঘরে ফিরলেন।
নর্কিয়ার ব্যাট আম্পায়ারের পরীক্ষায় ফেল
তবে আরও যেটা লক্ষ্য করা গেল, তা হল কেকেআরের একাদশতম ব্যাটার অনরিখ নর্কিয়া ব্যাট আম্পায়ারদের পরীক্ষায় পাশ হল না। তবে কি অবৈধ ব্যাট নিয়েই ব্যাটিং করতে এসেছিলেন নাইটদের এই ব্যাটার? হতেই পারে। আসলে গত রবিবারের ম্যাচ থেকেই দেখা গেছে, মাঠেই ব্যাটারদের ব্যাট চে✨ক করছেন আম্পায়াররা। এরপর নাইটদের আফগান ব্যাটার রহমানউল্লাহ গুরবাজ এসে নর্কিয়ার ব্যাট সাজঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যান এবং অন্য একটি ব্যাট দিয়ে যান। তবে তিনি সেই ব্যাটে খেলার সুযোগই পাননি, কারণ রাসেল আউট হয়ে যান।
ব্যাটের সাইজ কেমন হবে?
নিয়ম অনুযায়ী ব্য়াট ১০.৭৯সেমির বেশি চওড়া হবে না, ব্লেড ৬.৭সেমির বেশি মোটা হবে না। ব্যাটের একদম নিচের দিকের অংশ ৪ সেমির বেশি মোটা হবে না। আট ব্যাটের দৈর্ঘ্য ৯৬.৪ সেমির বেশি বড় যেন না হয়। প্রসঙ্গত এটি ছিল নর্কিয়ার বেশ কয়েক মাস পর ক্রিকেটে প্রত্🔜যাবর্তনের ম্যাচ। তিনি বল হাতে ২৩ রান দিয়ে ১ উইকেটও নিয়েছিলেন এই ম্যাচে। SA20র সময় চোট পাওয়ার পর দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। কেকেআরের হয়ে খেলতে নামলেও দলকে জেতাতে ব্যর্থ হলেন প্রোটিয়া তারকা।