আন্তর্জাতিক টি২০ ফরম্য়াট থেকে গতবছরের শেষেই বিদায় নিয়েছেন বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা। গতবছর জুন মাসের শেষে টি২০ বিশ্বকাপ জয়ের পরই তাঁরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, আর ভারতীয় দলের জার্সিতে টি২০তে খেলবেন না তাঁরা। যদিও আইপিএলে দুই তারকাই খেলা চালিয়ে গেছেন। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সফরে গেছিলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা। কিন্তু বর্ডার গাভাসকর সিরিজই কার্যত তাঁদের টেস্ট কেরিয়ার শেষ করে দিয়েছে। কারণ গোটা সিরিজে ৩ ম্যাচ খেলে রোহিত শর্মা ৫০ রানের গণ্ডিও টপকাতে পারেননি, আর বিরাট কোহলি পার্থ স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টে শতরান দিয়ে শুরু করলেও এরপর বাকি সব টেস্ট মিলিয়েও সিরিজে ২০০ রানের গণ্ডিও টপকাতে পারেননি। এরপরই মে মাসের প্রথম এবং দ্বিতীয় সপ্তাহে পরপর দুই তারকা ক্রিকেটারই টেস্ট ফরম্যাট থেকে অবসর ঘোষণা করেন।
বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা তাই আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজে খেলবেন না। অগাস্ট মাসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে খেলার কথা তাঁদের। এরপর অক্টোবরে দুই তারকা যাবেন অস্ট্রেলিয়ায় তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলতে। আর সেই সিরিজকে কেন্দ্র করেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বিশেষ পরিকল্পনা নিচ্ছে।
বিরাটরা যেহেতু দুই ফরম্যাট থেকেই অবসর নিয়েছেন, তাই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া মনে করছে বিরাটরা যখন তখন ওডিআই থেকেও অবসর নিয়ে নিতেই পারেন। তাই এটাই সম্ভাব্য শেষ অস্ট্রেলিয়া সফর হতে চলেছে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের। তাই তাঁদের জন্য এক ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চলেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। জল্পনা তৈরি হয়েছে যে ২০২৭ বিশ্বকাপ খেলার পরই দুই ক্রিকেটার অবসর নিতে পারেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও টড গ্রিনবার্গ জানিয়েছেন, ‘এটাই হয়ত শেষবার আমরা দেখতে পারব রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি আমাদের দেশে খেলছে। সেটা হবে কি হবে না, সেটা আমরা নিশ্চিত নই। কিন্তু যদি সেটাই হয়, তাই আমরা আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি এমন দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের অসাধারণ ক্রিকেটের অধ্যায়কে কুর্নিশ জানাতেই তাঁদের জন্য বিশেষ সেন্ড অফের ব্যবস্থা করা হবে ’।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া চেষ্টা চালাতে চলেছে, যাতে বিগ ব্যাশ লিগে ভারতীয় ক্রিকেটারদের খেলানোর অনুমতি পাওয়া যায়। বিসিসিআই ভারতীয় ক্রিকেটারদের কোনও লিগে খেলতে দেয় না। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের সিইও জানিয়েছেন, বিরাট কোহলিকে এবারের বিগ ব্যাশ লিগে খেলতে দেখতে তাঁরা চান, তাই বিসিসিআইয়ের কাছে তাঁরা আর্জিও জানাবেন। সেক্ষেত্রে বিবিএলের দর্শক সংখ্যা এবং ভিউয়ারশিপও বাড়তে চলেছে।