চেন্নাই টেস্টে ব্যাট হাতে নজর কেড়েছেন ঋষভ পন্ত। দ্বিতীয় ইনিংসে দলের যখন রান দরকার, সেই সময় পরপর টপ অর্ডার ব্যাটাররা সাজঘরে ফিরছিলেন। দ্রুত রান তুলতে গেলে পন্তকে ক্লিক করতেই হত। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সময়ই বোঝা গেছিল, তিনি ছন্দে রয়েছেন। স্রেফ ভুল টাইমিংয়ের জন্য প্রথম ইনিংসে হাসান মাহমুদের বলে লিটন দাসের হাতে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে সাজঘরে ফিরেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে আর সেই সুযোগ দেননি তিনি। ৮৫ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেন ১০৯ রান। ম্যাচ শেষে পন্ত জানালেন, তিনি চেয়েছিলেন দ্রুত ১৫০ রান করতে, সেই জন্যই চালিয়ে খেলা শুরু করে ছিলেন। দুর্ঘটনার পর এটাই ছিল পন্তের প্রথম টেস্ট ম্যাচ, আর সেখানেই কোচ-অধিনায়কের ভরসার দাম দিতে পেরে খুশি উত্তরাখণ্ডের ছেলে।
ঋষভ পন্ত নিজের দুরন্ত শতরানের পরই সম্প্রচারকারী সংস্থাকে এক সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন। সেখানেই পন্তকে প্রশ্ন করেন সঞ্চালকরা, হঠাৎ করে পন্ত কেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছিলেন ম্যাচের তৃতীয় দিনে লাঞ্চের পর। তখন পন্ত উত্তর দেন, অধিনায়কের বেঁধে দেওয়ার সময়ের মধ্যে রান করতে হত। সেই কারণেই তিনি আচমকাই পেটাতে শুরু করেন বাংলাদেশের বোলারদের।
আরও পড়ুন-পাক ড্রেসিং রুমে বসতেন অসহায় মুখে! ভারতে এসে এবার হাসি ফুটল মর্কেলের মুখে…
চেন্নাইতে দ্বিতীয় ইনিংসে ঋষভ পন্ত অর্ধশতরান করেছিলেন ৮৮ বলে। তিনি আউট হল ১২৮ বলে ১০৯ রান করে। অর্থাৎ পরের ৪০ বলের মধ্যে পন্ত করেছিলেন ৫৯ রান। যার দৌলতে আসে নিজের ষষ্ঠ টেস্ট শতরানও। মধ্যাহ্ন বিরতির সময়ই অধিনায়ক রোহিত শর্মা বার্তা দিয়েছিলেন ব্যাটারদের, সেই মতোই কাজ করেছিলেন তিনি বলছেন ঋষভ পন্ত। সেই মজার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন-'IPL থেকে এসেছিলাম বলে অনেকে সংশয়ে ছিল আমায় নিয়ে', ম্যাচ জিতিয়ে অশ্বিনের বোমা…
সঞ্চালক সেখানে পন্তকে প্রশ্ন করেন, যে হঠাৎ করে দ্রুত গতিতে রান তোলার চেষ্টা কেন করছিলেন তিনি। এর উত্তরেই ঋষভ বলেন, ‘আমরা যখন বিরতিতে যায়, তখন ডিক্লিয়ার করা নিয়ে কথা হচ্ছিল। তখন রোহিত ভাই বলে দিয়েছিল আর এক ঘন্টা ব্যাটিং করার সময় পাবো। তাঁর মধ্যে যার যা করার করে নাও। এরপর আমি ভাবলাম তাড়াতাড়ি রান তুলি, যদি ১৫০ করে নিতে পারি, তাই চালিয়ে খেলা শুরু করেছিলাম’। প্রসঙ্গত লাঞ্চ থেকে ফিরে পরের কয়েক ওভারের মধ্যেই ৪টি চার এবং ১টি ছয় মারেন এই বাঁহাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটার।