আজ, মঙ্গলবার ভোটগণনা চলছে গোটা দেশে। তবে বাংলার অধিকাংশ আসন এখন তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে যাচ্ছে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বুথফেরত সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছিল, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে বেশি আসন পাবে বিজেপি। যা ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই মিলল। বাংলায় সবুজ ঝড় অব্যাহত। ৩০টি আসনে এগিয়ে আছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তার মধ্যে অনেকগুলিই জিতে গিয়েছে। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে, বাংলা থাকছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই। কিন্তু বাংলায় ঘাসফুল ঝড় অব্যাহত থাকলেও তিন লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, কাঁথি, তমলুক আসনে তাঁর সংশয় রয়েছে। তিনি পুনরায় গণনা চাইছেন এখানে।
আজ গোটা বাংলায় ঘাসফুল ঝড়ে যখন পদ্ম সংকুচিত তখন সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও বিজেপি যে নোংরা রাজনীতি করছে সেই অভিযোগ তোলেন তৃণমূলনেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নন্দীগ্রামে গণনায় যা ঘটেছিল, সেই কারচুপিই হয়েছে তমলুকে। আর কাঁথিতে তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হওয়ার পরও সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে না। কাঁথি–তমলুকে ভোট হয়নি। রিগিং হয়েছে। কাঁথিতে তৃণমূল প্রার্থী জেতার পর জেলার অবজার্ভার সার্টিফিকেট দিচ্ছেন না। নন্দীগ্রামের ভোটে যা হয়েছিল, তমলুকেও তাই হয়েছে। গণনাকেন্দ্রের কাছে রাজ্য পুলিশকে ঘেঁষতে দেয়নি। আমি এর বদলা নেব।’
আরও পড়ুন: ‘ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যাবে অভিষেক’, বিপুল জয়ের পর নির্দেশ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো
তাহলে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে কে যাবে? এই প্রশ্নের সটান জবাব দেন বাংলার নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘আমি অভিষেককে অনুরোধ করব যেতে। কারণ ও তো দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে রেকর্ড গড়েছে। তাই ওকে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যেতে বলব। এখানে আরও ৩–৪টে সিট আমাদের পাওয়ার আছে। দরকার হলে কিছু সিটে রিকাউন্টিংও হবে। তমলুকে ওটা ইলেকশন নয়, নন্দীগ্রামে আমার সময় যা করেছিল ওখানেও তাই করেছে। তাতেও যে ভোটে জিতেছে রিকাউন্টিং হলে ভিভিপ্যাট কাউন্টিং হলে প্রমাণ হবে ওটাতে হেরেছে। কন্টাইয়ে জেতার পরও বিজেপি অবজারভার সার্টিফিকেট আটকে রেখেছে বিজেপিকে জেতাতে। বিজেপি অবজার্ভার দেখে দেখে বাংলায় পাঠানো হয়েছে। অবজার্ভাররা রাজনীতি করলে আই অ্যাম সরি।’