সদ্য দেখানো হয়েছিল যে, মাইল্ড কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় স্বতন্ত্রর। আর ফলে ‘নতুন কাকু’কে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় গোটা পরিবার। তবে এসবের মাঝেই জলসায় এল নতুন প্রোমো। যেখানে দেখা গেল, ফিরে এসেছে কমলিনীর মৃত স্বামী। আর এই প্রোমো দেখে, লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায় আরও একবার ট্রোলে।
লীনা-র ধারাবাহিকে বৈবাহিক জটিলতা, সম্পর্কের টানাপোড়েন বরাবরই মূল আকর্ষণ। এবারেও তাই ছিল, এক বিধবা ও তাঁর সঙ্গে স্বামীর বন্ধুর সম্পর্কই ছিল এই ধারাবাহিকের বিষয়। ছেলেমেয়ে যখন একদম ছোট্ট, তখনই মারা যায় কমলিনীর স্বামী। সেই সময় পরিবারের হাল ধরে বরের বন্ধু সতন্ত্র। যাকে কমলিনী ডাকে ‘নতুন ঠাকুরপো’, আর ছেলে-মেয়েরা ডাকে ‘নতুন কাকু’। তবে দেখা যায়, কমলিনীর বড় ছেলে বুবলাইয়ের বিয়ের পর থেকেই, নতুন কাকুকে সে সহ্য করতে পারে না আর। মায়ের সঙ্গে নতুন কাকুকে জড়িয়ে বলতে থাকে নোংরা নোংরা কথা। এমনকী, বাড়ি থেকেও বের করে দেয়।
তবে স্বতন্ত্রের অসুস্থতার পর, দর্শকরা ভেবেছিলেন যে, এবার বুঝি ‘অধরা মাধুরী’তে জায়গা হবে স্বতন্ত্রর। আর ফলে, কমলিনী যখন অসুস্থ স্বতন্ত্রর সেবা করবে, প্রেমটাও আরও বাড়বে। তবে সেসব দেখানোর আগেই, ফিরে এল কমলিনীর প্রয়াত স্বামী। এবার কোন দিকে মোড় নেবে গল্প, তা তো সময়ই বলবে।
দেখা গেল, প্রোমো আসতেই খচে লাল দর্শক। একজন লিখলেন, ‘জঘন্য মিথ্যাচার করেছেন, আর দেখবো না। প্রতিটা সিরিয়ালের মতো, এটাও জঘন্য করে ফেলল। গল্পটা ছিল কি আর হয়ে গেলো কি। এখনো পর্যন্ত একটাও এপিসোড মিস করিনি, কিন্তু আজ থেকে এটা বন্ধ হয়ে গেলো। জঘন্য জঘন্য।’ আরেকজন লেখেন, ‘দিল সিরিয়ালের গল্পের গরু গাছে তুলে।’
তৃতীয় মন্তব্যে লেখা হয়, ‘ও হো, একেবারে কুমু!! তিনটে বাচ্চা বড় করা, মা - বোনের সব দায়িত্ব পালন করে জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে কুমু ডাক শোনা!! শুরু হয়ে গেল ডিটারজেন্ট গুলে, গুলে, গুলে...এ এ এ ফেনা তোলা’।