সময়টা একদম ভালো যাচ্ছে না মিঠাই টিমের। অ্যাকশন-প্যাক দৃশ্যের শ্যুট করতে গিয়ে দু-দিন আগেই চোট পেয়েছিল ওমি মানে অভিনেতা জন ভট্টাচার্য। আর এবার রক্তাক্ত মিঠাইরানি।
এমনিতেই মাঝেমধ্যেই পড়ে গিয়ে চোটাঘাত পাওয়ার ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে সৌমিতৃষার (Soumitrisha Kundu)। আগেও পায়ে চোট লাগিয়েছেন, আবার সেই চোট ভুলেই শ্যুটিং সেরেছেন পুরোদমে। এবার চোট লাগল সৌমিতৃষার কানে! হ্যাঁ, সৌমিতৃষার কান দিয়ে ঝরঝরিয়ে রক্ত পড়তে দেখা গেল। সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করতেই মন খারাপ ভক্তদের। কীভাবে এমন হাল হল তুফানমেল-এর? ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করে সৌমিতৃষা লিখেছেন, ‘কেয়ারলেস মানুষ হলে যা হল আর কী’।
নায়িকার চোট লাগার কারণ জানতে জন্মাষ্টমীর দিন সকাল সকাল সৌমিতৃষাকে ফোন করেছিলাম আমরা। শ্যুটিং-এ বেরানোর তাড়া, এর মাঝেই ফোন ধরে বললেন, ‘আর বলো না, আমি ২ মাস আগে কান ফুটিয়ে ছিলাম। ওটা শুকোয়নি কোনওভাবে। ফোন ঘাঁটতে ঘাঁটতে কাল রাতে পুসটাকে খুলতে গিয়ে কানের দুলটা এক ঝটকায় খোলে, আর সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পড়তে শুরু করে’।

না, এখানেই শেষ নয়। মা রান্না ঘরে যাওয়ার পর ছটপটে সৌমিতৃষা চিন্তায় পড়ে যান তাঁর শখের কানের ফুট বুজে না যায়। তাই চোট লাগা কানেই ফের ওই সোনার দুল পরতে যান মিঠাইরানি। ব্যাস, ভুলভাবে কানেরটি ঢুকে যায়। না সেটি বাইরে আসছে, না ভিতরে যাচ্ছে। অভিনেত্রীর কথায়, ‘উলটো টান দিচ্ছি খুলছে না। হয়ত শিরায় আটকে গিয়েছিল, এরপর ডাক্তারকেও ফোন করি। তৈরি হয়ে বার হতেও যাচ্ছিলাম। আর মনে মনে গোপালকে ডাকছিলাম, জন্মাষ্টমীর আগের দিন আমার সঙ্গে কী করছো! এর মাঝে হেঁটকা টান দিতে কানের খুলে যায়। তবে প্রচণ্ড রক্ত বার হচ্ছিল। রক্ত তো বন্ধই হচ্ছিল না। অনেকক্ষণ রক্ত চেপে রাখতে হয়েছিল’।
আরও পড়ুন- খুনের দায়ে হাজতে সিদ্ধার্থ! কী করতে চলেছে মিঠাই? জেনে নিন নয়া পর্বের গল্প
এখন কেমন আছেন? সৌমিতৃষা জানালেন, ‘কান ফুলে আছে, প্রচণ্ড ব্যাথা। আজ থেকে অ্যান্টি-বায়োটিক খাওয়া শুরু করব। ডাক্তার বলেছেন, ফুলে থাকার কারণে ওই চ্যানেল ছোট হয়ে গেছে, তাই এই হাল’।
রক্ত বন্ধ হলেও ফুলে আছে কান, সঙ্গে প্রচণ্ড ব্যাথা- এই অবস্থাতেই ভারতলক্ষ্মী স্টুডিওর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন সবার প্রিয় মিঠাইরানি। দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠুন সৌমিতৃষা, হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে রইল শুভেচ্ছা।