বিষ্ণোই গ্যাং-এর টার্গেট এখন সলমন খান। প্রাণভয় বুকে নিয়েই দিন কাটছে ভাইজানের। এরই মাঝে মাঝে মুম্বই আদালতে জানাল বডꦡ় তথ্য। জানা যাচ্ছে, ২০২৪-এর ১৪ এপ্রিল বান্দ্রার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে গুলি চালনার ঘটনায় মূল টার্গেট ছিলেন সলমন খান। PTI সূত্রে খবর, আনমোল বিষ্ণোই যিনি কিনা লরেন্স বিষ্ণোই-এর ভাই, তিনিই এই চক্রান্ত করেছিলেন।
ইতিমধ্যেই এই গুলি চালনার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ভিকি গুপ্তা ও সাগর পাল নামে দুই দুষ্কৃতীকে। আদালত তাঁদের জামিনে মুক্তি দিতে অস্🐈বীকার করেছে। বিশেষ বিচারক বিডি শেলকে জানিয়েছেন, এই অপরাধের ধরণটি মহারাষ্ট্র সংগঠিত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ আইন (MCOCA) এর আওতায় রয়েছে। গত ১৮ অক্টোবর দুই ধৃতের জামিন প্রত্যাখ্যান করে আদালত। ভিকি ও সাগরকে নামে এই দুই দুষ্কৃতীকে চলতি বছরে শুরুর দিকে গুজরাট থেকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতের নথি বলছে গুপ্তা এবং আনমোল বিষ্ণোইয়ের মধ্যে কল ট্রান্সক্রিপ্টের (ভয়েস বা ভিডিয়ো কল) মাধ্যমে কথোপকথন হয়েছিল। আর তাতে এই তথ্য সামনে এসেছে যে এই হামলাটি আনমোলের নির্দেশেই হয়েছিল।
তবে সেই কল ট্রান্সক্রিপ্ট (ভয়েস বা ভিডিয়ো কল)টি স্পষ্টভাবে এটা প্রমাণ করে যে ভিকি গুপ্ত♔াই সেই ব্যক্তি, যাকে আনমোল বিষ্ণোই প্রত্যক্ষভাবে সলমনকে খুনের নির্দেশ দিয়েছিল।
জানা যাচ্ছে, FIR এবং আদালতের নথিতে উল্লেখ রয়েছে সলমন খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের প্রথম তলার এই গ্যালারি💮তে গুলি চালানো হয়েছিল। যেখান থেকে লোকজনের উদ্দেশ্যে হাত নাড়ার জন্য প্রায়ই সুপারস্টার উঁকি দেন। আদালত জানিয়েছেন, ওই গুলিটি ইচ্ছাকৃতভাবে সেখানে করা হয়েছিল। যেখানে সুপারস্টার প্রায়ই এসে দাঁড়ান। সলমনের উপর এই হামলার জন্য এর আগেও লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংকে দায়ী করা হয়েছিল। বহু হাই-প্রোফাইল অপরাধের সঙ্গে যুক্ত এই গোষ্ঠীটি বহুদিন ধরেই পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে। লরেন্স বিষ্ণোই এই মামলায় একজন অপরাধী হিসাবে ও🎃য়ান্টেড হিসাবে রয়েছেন।
১৯৯৯ সালে যখন সলমনন খান, টাবু এবং সোনালি বে𒆙ন্দ্রে ' হাম সাথ-সাথ হ্যায়' - এর শুটিং করছিলেন, তখন তাঁদের বিরুদ্ধ🔯ে রাজস্থানে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এই মামলায় আগে সলমনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল, পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান। এই মামলাটি বছরের পর বছর আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল। বর্তমানে, সলমন বিষ্ণোই গ্য়াং-এর টার্গের আর তাই আরও একবার এই মামলাটি লাইম লাইটে উঠে এসেছে।