স্বঘোষিত ফিল্ম সমালোচক কমল রশিদ খানের ফিল্ম রিভিউ নিমেষেই ভাইরাল হয়ে যায়। বলিউডের ৯৯% ছবি পছন্দ হয় না কেআরকে-র। ইন্ডাস্ট্রির তারকাদের সমালোচনা করাটাই ‘দেশদ্রোহী’ ছবির নায়ক তথা প্রযোজকের একমাত্র লক্ষ্য, সেটাও খানিকটা আন্দাজ করা যায়। দিন কয়েক আগে সলমন খানের ‘রাধে : ইয়োর মোস্ট ওয়ান্টেড ভাই’-এর রিভিউ দিতে গিয়ে ক্যামেরার সামনে ঝরঝরিয়ে কাঁদলেন কমল রশিদ খান। এক কথায় সলমন খানকে রীতিমতো রোস্ট করেন কেআরকে।
মঙ্গলবার ফের টুইটারে বোমা ফাটালেন কেআরকে। তাঁর দাবি, সলমন খান নাকি মানহানির মামলা ঠুকেছেন কেআরকের নামে। সলমন খানের উকিলদের তরফে একটি আইনি নোটিশ কেআরকে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। মুম্বইয়ের এক নগর দায়রা আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দুবাইয়ের এক থিয়েটারে রাধে-র প্রথমার্ধ দেখে একটি রিভিউ ভিডিয়ো পোস্ট করেন কেআরকে। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমার মাথা ঘুরছে। আমার কান্না পাচ্ছে।আমি কী দেখলাম কিছুই বুঝতে পারছি না। মধ্যান্তরের পর হলের ভিতরে ঢোকবার মতো হিম্মত আমার হচ্ছে না। আমাকে ওষুধ খেতে হবে…’। উল্লেখ্য, গত ১৩ই মে বক্স অফিসে ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি-প্লেক্স ও জি-ফাইভে ‘পে পার ভিউ’ মডেল অনুযায়ী মুক্তি পেয়েছে সলমন খানের এই ছবি।

কেআরকে লিগ্যাল নোটিশের কপি টুইট করে লেখেন- ‘প্রিয় সলমন খান, এই মানহানির মামলা আপনার হতাশা আর নিরাশার প্রমাণ। আমি রিভিউ দিয়েছি আমার ফলোয়ারদের, আমি আামার কাজ করেছি। আপনার উচিত ভালো মানের ছবি তৈরি করা, আমাকে আটকানোর চেষ্টা করে লাভ হবে না। আমি সত্যের জন্য লড়াই জারি রাখব! ধন্যবাদ এই মামলার জন্য’।
সলমন খানে তরফে কেআরকের বিরুদ্ধে রাধে-র ভাবমূর্তি নষ্টের অভিযোগ আনা হয়েছে। অপর এক টুইটে সলমন খানকে বদমেজাজি বলে কটাক্ষ করে এই ফিল্ম সমালোচক বলেন, 'যদি ওঁনার এতোই সমস্যা ছিল তাহলে উনি জানিয়ে দিতে পারতেন, রাধে-র রিভিউ আমি করতাম না’। সেই টুইটে নিজেকে দুনিয়ার নম্বর ১ ফিল্ম ক্রিটিক বলেও উল্লেখ করেন কেআরকে। গোটা বিষয় নিয়ে সলমন খান বা তাঁর প্রযোজনা সংস্থার তরফে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।