খুব অল্প বয়সেই মা-বাবা'কে হারিয়েছেন শাহরুখ🌠 খান। ছেলের আকাশছোঁয়া সাফল্য তো দূরে থাক, বলিউড সফরের শুরুটাও দেখে যাননি তাঁরা। এই দুঃস্বপ্ন আর যন্ত্রণা আজীবন তাড়া করে বেড়ায় শাহরুখ খানকে। শুধু পেশাদার জীবনের সাফল্যই নয়, শাহরুখ খানের সাজানো সংসারও দেখবার সুযোগ হয়নি অভিনেতার🐎 বাবা-মা'র। কিন্তু অভিনেতার ফ্যানের কল্পনায় একসঙ্গে দেখা মিলল গোটা পরিবারের। এই ছবি এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এই আর্টওয়ার্কে শাহরুখের বাবা তাজ মহম্মদ খান, মা লতিফ ফাতিমা খানের দেখা মিলল অভিনেতা, তাঁর স্ত্রী গৌরী, তিন সন্তান- আরিয়ান, সুহানা, আব্রাম এবং দিদি শেহনাজ লালারুখ খানের সঙ্গে। একদম পারফেক্ট ফ্যামিলি পোর্টেট এই ছবি। দুইধারে চেয়ারে বসে রয়েছেন শাহরুখের বাবা-মা। তাজ মহম্মদের পরনে ধূসর প্যান্ট-স্যুট, মা পরে আছেন ভারী কালো-সোনালি সিল্কের শাড়ি আর সোনার গহনা। ঠাকুরদার একদম কোল ঘেঁসে দাঁড়িয়ে রয়েছে ছোট্ট আব্রাম, পিছনে শাহরুখ। বাদশার বাঁদিকে গৌরী ও দিদি,ডানদিকে আরিয়ান ও সুহানা। একমাত্র শাহরুখের দিদি ছাড়া অন্য সকলের দেখা মিলল ওয়েস্টার্ন আউটফিটে। খান পরিবারের তিন পুরুষের দেখা মিলেছে ধূসর প্যান্ট-স্যুটে। শুধু আরিয়ানের পরনে ছি🍎ল সাদা শার্ট। গৌরী ও সুহানা তাক লাগালেন গাউনে।
১৫ বছর বয়সে বাবাকে হারান শাহরুখ, অন্যদিকে ১৯৯০ সালে মৃত্যু হয় অভিনেতার মায়ের, তখন বাদশা সবে ২৬! জীবনের ‘হিচকি’ মূহূর্তের কথা বলতে গিয়ে রানি মুখোপাধ্যায়কে কিং খান জানিয়ে👍ছিলেন- ‘মা-বাবাকে ছাড়া খালি বাড়ি আমাকে গ্রাস করে নেয়। একাকীত্ব, যন্ত্রণা, দুঃখ- বাবা-মা’কে হারানোর জেরে এইসব কিছু জাঁকিয়ে বসে আমার গোটা জীবন ধ্বংস করে দিতে পারত..'।
কীভাবে এই শোক কাটিয়ে উঠেছিলেন শাহরুখ? ‘অভিনয়কে আঁকড়ে ধরেই আমার জীবনের এই হিচকি আমি কাটিয়ে উঠেছি’, অকপটে জানিয়েছেন বাদশা। ‘আচমকা বাবা-মা চলে গেল… আমরা সবে জানলাম ওঁনারা ক্যানসার আক্রান্ত আর মাস দুয়েকের মধ্যেই চলে গেল…আমি একদিন রাতে ওঁনাদের মাজার🦄ে ছিলাম, সেই সময় আমি উপলব্ধি করেছিলাম এই শূন্যতাটা আমাকে কিছু একটা দিয়ে পূরণ করতে হবে, আমি সৌভাগ্যবান এরপর আমার কাছে ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ আসে। অভিনয় আমার কাছে কাজের জায়গা নয়, আমার অনুভূতিগুলো ব্যক্ত করবার জায়গা’, জানা✃ন শাহরুখ খান।