জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে উপহার দেওয়ার রীতি বহু দিন ধরেই প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু উপহার দেওয়ার সময় অনেকেই ধন্দে পড়ে যান। কোন উপহার দেওয়া যাবে না যাবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। জ্যোতিষ মতে, জামাইষষ্ঠীর মতো শুভ দিনে সবধরনের উপহার কিন্তু শুভ নয়। তাই শাশুড়ি বা জামাইকে কোন উপহার দেওয়া যায় বা কোনটা দেওয়া যায় না, তা আগে থেকে জেনে রাখা ভালো।
আরও পড়ুন - একঘেয়েমিও শিশুদের জন্য আশীর্বাদ হতে পারে, জেনে নিন কীভাবে, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
জামাইষষ্ঠীতে কী কী উপহার দেওয়া যায়?
১. ইলেকট্রনিক যন্ত্র - পরিচিত উপহার দেওয়ার বদলে ইলেকট্রনিক যন্ত্র উপহার হিসেবে দিতে পারেন। এর মধ্যে ইস্ত্রি, এসি, ফ্রিজ, টিভি, মাইক্রোওভেনের মতো নানা জিনিস তালিকায় রাখতে পারেন।
২. পোশাক - পোশাক অনেকেই জামাইষষ্ঠীতে উপহার হিসেবে দিয়ে থাকেন। এই দিনও সেই উপহার দিতে পারেন। পোশাকের থেকে ভালো ও মানানসই উপহার খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তাই এই উপহারে ভরসা রাখতে পারেন।
৩. ব্যাগ - মানিব্যাগ বা সাধারণ ব্যাগ উপহার হিসেবে দিতে পারেন। এটি একদিকে যেমন শুভ একটি উপহার, তেমনই অন্য দিকে বেশ কাজের উপহার। উপহারটি অনেক ক্ষেত্রেই শুভ বলে ধরা হয়। তবে মানিব্যাগ উপহার দিলে তাতে কিছু টাকা ভরে উপহার দেওয়া ভালো।
৪. অন্দরসজ্জার দ্রব্য - ঘর সাজানোর নানা প্রয়োজনীয় আসবাব ও উপকরণ দিতে পারেন জামাইষষ্ঠীতে। দেবতার মূর্তি, গাছ, ছবি ইত্যাদি রাখতে পারেন আপনার উপহারের তালিকায়।
আরও পড়ুন - দূরে থাকে জামাই… শুভেচ্ছা, আশীষ জানাতে কী লিখবেন ভাবছেন? দেখে নিন সেরা ১০ মেসেজ
কোন কোন উপহার অশুভ?
১. সেন্ট বা বডি স্প্রে - জামাইষষ্ঠীর দিন সুগন্ধী উপহার হিসেবে না দেওয়াই ভালো। তবে রুম ফ্রেশনার জাতীয় উপহার দিতে পারেন জামাইকে।
২. জুতো - জামাইয়ের জুতোর শখ থাকলেও জামাইষষ্ঠীর দিন জুতো না দেওয়াই ভালো। এতে সম্পর্কে ভাঙন তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হয়ে থাকে।
৩. রুমাল - রুমালের শখ থাকলেও জামাইকে জামাইষষ্ঠীতে রুমাল না দেওয়াই ভালো।
৪. ঘড়ি - অনেকেই জামাই মানে হাতঘড়ি উপহার হিসেবে দিয়ে থাকেন। কিন্তু এই হাতঘড়ি সবসময় উপহার হিসেবে শুভ নয়। তাই এড়িয়ে চলাই ভালো।