তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে কোমায় মধ্যেই কেটেছে মহিলার। কোনওরকম সাড়া শব্দ ছাড়াই এতদিন চোখ বুজে নিথর দেহে জীবিত ছিলেন তিনি। অবশেষে ৩১ বছর পর মৃত্যু হল তাঁর। স্ত্রীয়ের কথা বলতে গিয়ে রীতিমতো ভেঙে পড়লেন মৃতার স্বামী অ্যাঞ্জেলো ফ্যারিনা। ১৯৯১ সালে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার পর কোমায় চলে যান অ্যাঞ্জেলোর স্ত্রী। তারপর আর সেখান থেকে ফিরে আসেননি তিনি। ৩১ বছর ধরে বিশেষ নিরীক্ষণে ছিলেন অ্যাঞ্জেলোর স্ত্রী মিরিয়ম ভিসিনতিন। সম্প্রতি শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানেই দুই সপ্তাহ ধরে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। কিন্তু সব চিকিৎসা ব্যর্থ করে দিয়ে থেমে যায় হৃদস্পন্দন। ৩১ বছরের লড়াই শেষ করে বিদায় নেন মিরিয়ম।
আরও পড়ুন: গরমে রোজ পেটের সমস্যা? কয়েকটি খাবার তাহলে রোজ খেতে হবে
আরও পড়ুন: কী ভয়ঙ্কর, রাস্তায় ঝামেলা হতেই সাপ দিয়ে অন্যজনকে পেটালেন ব্যক্তি! ভাইরাল ভিডিয়ো
১৯৯১ সালে বড়দিনের আগের সন্ধ্যায় নিজের ফিয়াট পান্ডা চালিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন মিরিয়ম। সেই পথেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি পোলে সজোরে গিয়ে ধাক্কা মারে তাঁর গাড়ি। দুর্ঘটনার পরে পরেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু মস্তিষ্কের একটি ক্ষতকে আর অস্ত্রপচার করে ঠিক করা সম্ভব হয়নি। সেই ক্ষত থাকা অবস্থাতেই তাঁকে লা ম্যাডোনিনা নামের একটি হোমে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। সেখান থেকে কাসা স্টার্ম ইনস্টিটিউটের বিশেষ পর্যবেক্ষণে ছিলেন মিরিয়ম। সেখানেই তাঁর ৩১ বছর কেটে যায়। এই ৩১ বছর ধরে একদিনও রুটিনে ছেদ পড়েনি তাঁর স্বামী অ্যাঞ্জেলোর। নিয়মিত তিনি হাসপাতালে আসতেন তাঁর স্ত্রীকে দেখতে। দিনে অন্তত একবার হলেও তাঁকে হাসপাতালে স্ত্রীয়ের বিছানার কাছে বসে থাকতে দেখা যেত। এবারে তাঁর প্রয়োজন ফুরোল।
প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার মাত্র এক বছর আগেই বিয়ে হয়েছিল অ্যাঞ্জেলো ফ্যারিনা ও মিরিয়ম ভিসিনতিনের। তারপর থেকে ৩১ বছর কেটে গিয়েছে এভাবেই স্ত্রীয়ের নিথর শরীরের পাশে বসে থেকে। তবে দুঃখের আবহেও কিছুটা অন্য সুর অ্যাঞ্জেলোর গলায়। তাঁর কথায়, সে উপরে গিয়ে নিশ্চয়ই সুখী হবে। অবশেষে তাঁর দুঃখ কষ্টের শেষ হল! বিয়ের মাত্র দেড় বছরের মাথায় এই দুর্ঘটনা ঘটে, সে কথাও জানান অ্যাঞ্জেলো। আপাতত, স্ত্রী অন্য কোথাও পৌঁছে ভালো আছে, এই ভেবেই নিজেকে সামলেছেন তিনি।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক