গ্যাস পাইপ, লোহার রড, লাঠি দিয়ে দু'ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে নৃশংসভাবে পেটানো হয়েছিল মহারাষ্ট্রের সরপঞ্চ সন্তোষ দেশমুখকে।পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের তদন্তে এমনই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।ইতিমধ্যে বিড জেলার মাসাজোগ গ্রামের সরপঞ্চ সন্তোষ দেশমুখকে হত্যা করার ঘটনায় ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর নাম জড়াতেই চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন মহারা🔯ষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা (অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী) ধনঞ্জয় মুন্ডে। যা নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের সরকারি বাসভবনে সচিব মারফত পদত্যাগপত্র পাঠান ধনঞ্জয়। তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করে ধনঞ্জয়কে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত ৯ ডিসেম্বর নৃশংসভাবে খু🐷ন হন সন্তোষ দেশমুখ। তাঁকে নৃশংস অত্যাচার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, সন্তোষ দেশমুখ স্থানীয় একটি বায়ুকল কোম্পানির থেকে বলপূর্বক ২ কোটি টাকা তোলা আদায়ের সময় অভিযুক্তদের বাধা দিয়েছিলেন। এর কয়েকদিন পরই সন্তোষ দেশমুখ খুন হন। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে ধনঞ্জয় মুন্ডের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ওয়াল্মিক করাড়-সহ সাতজনকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলা আদালতে এই মামলায় ১,২০০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেছে সিআইডি। সোমবার চার্জশিটের সাথে জমা দেওয়া দেশমুখকে হত্যার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হ🤡য়ে যায়। এই নিয়ে তীব্র হট্টগোল বিধানসভায়। বিরোধীরা মামলার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে মুন্ডের পদত্যাগ দাবি করে। চাপের মুখে পড়ে মঙ্গলবার মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন মুন্ডে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সন্তোষ দেশমুখকে গ্যাস পাইপ, লোহার রড, লাঠি এবং ধারালো ▨কো♈নও জিনিস দিয়ে দু'ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পেটানো হয়েছে। অভিযুক্তরা নির্যাতনের ১৫টি ভিডিয়ো করেছে। আটটি ছবি তুলেছে। চার্জশিটে উল্লেখিত ভিডিয়োগুলির মধ্যে একটিতে পাঁচ অভিযুক্তকে সাদা পাইপ এবং লাঠি দিয়ে দেশমুখকে মারধর করতে এবং লাথি ও ঘুষি মারতে দেখা যাচ্ছে। দেশমুখকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। আরও একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, দেশমুখের গোটা শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে এবং অভিযুক্তদের একজন তার উপর প্রস্রাব করছে।
ছবি ভাইরাল হওয়ার পর দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন ধনঞ্জয় মুন্ডও। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, 'প্রকাশিত ছবিগুলি দেখে আমি 🍎গভীরভাবে দুঃখিত। আমার নৈতিকতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং গত কয়েকদিন ধরে আমার স্বাস্থ্য ভাল না থাকায়, ডাক্তার আমাকে আগামী কয়েকদিন বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, তাই চিকিৎসাজনিত কারণেও আমি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছি।'