ভারতের ‘আত্মনির্ভর’ তত্ত্বও সাফল্য এনেছে অপারেশন সিঁদুরে। গত ৭ মে পহেলগাঁও জঙ্গি হানার জবাবে পাকিস্তানে ‘প্রত্যাঘাত’ চালায় নয়াদিল্লি। উড়িয়ে দেওয়া হয় একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি। পাক অধিকৃত কাশ্মীর-সহ সিন্ধ ও পাঞ্জাব প্রদেশের সন্ত্রাস ছাউনিগুলিকে গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। আর নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকেই টি-৭২ ট্যাঙ্কগুলির মাধ্যমে পাকিস্তানে আঘাত হানে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এমনটাই দাবি করা হয়েছে এনডিটিভি-র রিপোর্টে। শুধুমাত্র অপারেশন সিঁদুর নয়, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সংঘর্ষ বিরতির পরও এখনও নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনার টি-৭২ ট্যাঙ্ক এবং বিএমপি-২ ‘ইনফ্যান্ট্রি ফাইটিং ভেহিকল্’ (সাঁজোয়া গাড়ি) রাখা রয়েছে। (আরও পড়ুন: পাক মাটিতে 'অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকব꧋াজদের' কার্যক🐼লাপ নিয়ে মুখ খুললেন বিদেশ সচিব)
আরও পড়ুন-কর্নেল কুরেশিকে নিয়ে কুমন্তব্য করে ক্ষমা চাইলেন BJP মন্ত্রী, তুমুল ভর্ৎসনা স𝓡ুপ্রিম কোর্টের
এনডিটিভির সাক্ষাৎকারে এক কর্নেল জানিয়েছে, সিঁদুর অভিযানে সেনাবহিনীর মূল ভূমিকা ছিল সন্ত্রাসবাদীরা যে পথ দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে সেগুলি ধ্বংস করে দেওয়া।তাঁর কথায়, 'আমরা অনুপ্রবেশকে সহজতর শত্রু পোস্টগুলিতেও আঘাত করেছি। আমরা জানি শত্রুরা কোন পোস্টগুলিকে অনুপ্রবেশের জন্য ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করে।' তিনি আরও বলেন, 'টি-৭২ ট্যাঙ্কগুলিতে ১২৫ মিমি বন্দুক লাগানো আছে এবং আমাদের কাছে ৪০০০ মিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সরঞ্জামের খুব সামান্য অংশই ব্যবহার করা হয়েছে...৩০০ মিমি বন্দুক এবং ৪০০০ মিটার ক্ষেপণাস্ত্র শত্রুর উপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।' কর্নেল জানিয়েছেন, যখনই নির্দেশ আসবে তখনই সেনা লড়াই করার জন্য প্রস্তুত থাকবে। (আরও পড়ুন: 'নির্দিষ্ট ইনপুট আছে', তুর্কি সংস্থা সেলেবি নিয়ে𓄧 আদালতে মুখবন্ধ খাম কেন্দ্রের)
গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ ভ্যালিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেই নৃশংস ঘটনায় মোট ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন। আর তারপর থেকেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে গোটা দেশ। এরপরেই পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিন্দুর’ পরিচালনা করেছ ভারতের সশস্ত্র বাহিনী। ২৫ মিনিটের এই অভিযানে জৈশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলির নয়টি শিবির গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মাথায় বাজ, �ꦏ�১০০০-২০০০ কোটির লাভ হতে পারে ভারতীয় সংস্থাগুলির)
আরও পড়ুন: 'স্ক্রু টাইট💮' ভারতের, ইউনুসের মাতব্বরিতেই মাথায় হাত বাংলাদেশের
এবার সেই বা🐼র্তা পৌঁছে যাবে বিশ্ব মঞ্চ💦েও। পাকিস্তানের মিথ্যা ও সন্ত্রাসের কারখানা যে কতটা ভয়ঙ্কর, তা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে তৈরি হয়েছে ৭টি সাংসদীয় প্রতিনিধি দল। এই দলগুলির নেতৃত্ব দেবেন দেশের সাত জন বিশিষ্ট সাংসদ।