দেশজুড়ে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা। এবার চোখ রাঙাচ্ছে সক্রিয় ওমিক্রনেরই একাধিক সাব ভ্যারিয়েন্ট। ইতিমধ্যে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩০০০ ছাড়িয়েছে।যার মধ্যে কেরলেই সক্রিয় রোগীর রয়েছে ১,৩৩৬ জন। তারপরেই আছে মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি। একই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই অনেকের রাতের ঘুম চলে গিয়েছে। আশঙ্কা, আবার কি শুরু হবে কোয়ারেন্টাইন? (আরও পড়ুন: অস্থিতিশীল বাংলাদেশ? ভোটের বিরোধিতায় নয়া বিস্ফোরক অভিযোগ 'বাচ্চাদের দলের')
আরও পড়ুন: ইদ থেকে রথযাত্রা, জুনে সব মিলিয়ে ১২ দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ, দেখে নিন ছুটির তালিকা
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৩৯৫ জন। কেরলে সর্বাধিক সংক্রমণ ১,৩৩৬ জন। তারপরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি।একদিনে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লি, কেরল, উত্তরপ্রদেশ ও কর্ণাটক একজন করে করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দিল্লিতে ৭১ বছরের এক বৃদ্ধ নিউমোনিয়া ও কিডনির অসুখে মারা গিয়েছেন। কর্নাটকে ৬৩ বছরের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। কেরালায় ৫৯ বছরের এক ব্যক্তি নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। তিনি মারা গিয়েছেন। অন্যদিকে, উত্তরপ্রেদেশের ঋষিকেশ এইমস-এ কোমরিবিটি নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৩ বছরের এক যুবকের। (আরও পড়ুন: আরও আগে থেকে করছে! পাক গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার কাসিমের দাদা হাসিন)
আরও পড়ুন: দামবৃদ্ধির পর ফের নিম্নমুখী সোনা, রবিতে কলকাতার দোকানে কত রেট হলুদ ধাতুর?
আরও পড়ুন-গভীর রাতে ট্রেনের উপর ভেঙে পড়ল সেতু! রাশিয়ায় দুর্ঘটনা নাকি বড় ষড়যন্ত্র?
যে সমস্ত কোভিড আক্রান্তের খোঁজ মিলছে, সেগুলির অধিকাংশই ৫-৬টি রাজ্যের। কেরলে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১,৩৩৬। এরপরই রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে সক্রিয় রোগী ৪৬৭ জন। দেশের রাজধানীতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৭৫।গুজরাটে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ২৬৫ জন। কর্ণাটকে সক্রিয় রোগী পৌঁছে গিয়েছে ২৩৪-এ। তামিলনাড়ুতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এখন ১৮৫। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ৩১ মে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২০৫ জন। উত্তরপ্রদেশেও গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে। (আরও পড়ুন: 'সন্ত্রাসবাদী' পাকিস্তান ইতিমধ্যেই সিন্ধু চুক্তি ভেঙেছে, রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে শেহবাজ শরিফকে তোপ ভারতের)
আরও পড়ুন: আজ-কালও ভাসবে উত্তর, দক্ষিণে ফের বৃষ্টি শুরু কবে থেকে? কলকাতায় কত গরম পড়বে?
আরও পড়ুন: পাক সংঘর্ষবিরতি নিয়ে জয়শঙ্করের ওপর আস্থা রেখে মোদীকে তোপ প্রশান্ত কিশোরের
করোনার ভয়ঙ্কর তাণ্ডবলীলার সাক্ষী থেকেছে গোটা বিশ্ব। বছর তিনেক পর ফের করোনার ভ্রুকুটি। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের মতো জায়গা দিয়ে নতুন করে বাড়বাড়ন্ত শুরু। এবার ভারতেও করোনার সংক্রমণের হারে বৃদ্ধি ধরা পড়ছে। চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নতুন উপপ্রজাতি এনবি.১.৮.১ ।
আরও পড়ুন: জঙ্গি নেতা লকভি পাক জেলে বন্দি, বাইরে মা হয়েছেন তাঁর স্ত্রী: ওয়াইসি
এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এবারের সংক্রমণ থেকে পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক হচ্ছে না। তবে চিকিত্সকরা এও বলছেন, সতর্ক থাকতেই হবে। ইতিমধ্যেই করোনা থাবা বিস্তার করেছে শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষের মধ্যেই।জনবহুল এলাকায় মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি বয়স্ক ও শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকা মানুষজনের জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। প্রশাসনের তরফে বারবার জানানো হয়েছে, নতুন করে করোনার ঢেউ এলে তা মোকাবিলায় সব রকমভাবে প্রস্তুত। অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।