পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এবার আন্তর্জাতিক স্তরে প্রচার শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে নয়াদিল্লি। পাকিস্তান যে সন্ত্রাসবাদকে মদত দিয়ে থাকে সেটার প্রমাণ দিতে বিদেশ যাবেন সব দলের সাংস𓃲দরা। সমস্ত দলের সাংসদদের নিয়ে তৈরি হচ্ছে প্রতিনিধিদল। এই প্রতিনিধিদলই সাম্প্রতিক ভারত–পাক সংঘাত এবং সামগ্রিক উত্তপ্ত হিংসার পরিস্থিতি সম্পর্কে বিদেশের সরকারগুলিকে তথ্য জানাবে। ভারতের অবস্থান সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা দিতে এই আন্তর্জাতিক প্রচার করা হবে বলে খবর। এখানে বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থকে মাথায় রেখে সাংসদের প্রতিনিধিদলে অংশ নেবেন সিপিএম সাংসদরা বলে বিবৃতি দিল পলিটব্যুরো।
আজ, শনিবার এই বিবৃতি 🐼দিয়েছেন সিপিএমের পলিটব্যুরো। জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে নিজেদের জায়গা করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম বলে মনে করা হচ্ছে। এখন গোটা দেশে সিপিএমের হাতে গোনা সাংসদ। তাঁদেরই এবার নামানো হচ্ছে দেশের স্বার্থে। এই বিষয়ে সিপিএমের পলিটব্যুরো বিবৃতিতে বলেছে, ‘সিপিএম রাজ্যসভার দলনেতাকে জানানো হয়েছে, সাংসদের একাধিক প্রতিনিধিদল বিশ্বের নানা প্রান্তে গিয়ে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করবে। এই বিষয় জাতীয় স্বার্থকে মাথায় রেখে সিপিএম সাংসদরা প্রতিনিধি দলে অংশ নেবেন।’
আরও পড়ুন: ট্যাংরা কাণ্ডে এবার গ্রেফতার বড় ছেলে প্রণয়, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই শ্রীঘরে
এদিকে অপারেশন সিঁদুরের পর কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনাও করেছে পলিটব্যুরো। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক এমএ বেবি চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন, সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশন ডাকার। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সেই পদক্ষেপ করা হয়নি। তাই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করা 🌸হলেও তারা পহেলগাঁও হামলা এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে সংসদের কোন বিশেষ অধিবেশন ডাকল না। যা অত্যন্🧜ত দুঃখজনক। ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানাবো দ্রুত একটি বিশেষ অধিবেশন ডাকার। কারণ দেশের মানুষের কাছে সব বিষয় পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন।’
অন্যদিকে ২২ মে তারিখের পরে শুরু হবে এই প্রচার অভিযান। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সাংসদদের কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রত্যেকটি প্রতিনিধি দলে ৫ থেকে ৬ জন সাংসদ থাকবেন। তাঁরা আমেরিকা, ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি–সহ নানা দেশে সফর করবেন এবং ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করবেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বিজেপি এবং এনডিএ শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করা হয়। সেখানে অপারেশন সিঁদুরের বিষয়ে জানানো হয়। পলিটব্যুরোর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের এই আচরণ বৈষম্যমূলক। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জাতীয়��𒁃 স্বার্থে জড়িত এমন একটি বিষয় নিয়ে এই বৈষম্য কাম্য নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে করার।’