কেরিয়ার নষ্ট করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে, ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করতেন শিক্ষক। এর বিরুদ্ধে প্ৰথমে কোনও ব্যবস্থা নিতে নারাজ ছিল হার্ভার্ড। ছাত্রীদের অভিযোগে গুরুত্ব দিতে চায়নি। কিন্তু শেষমেশ এতে কোনও লাভ হয়নি। সোজা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। সরাসরি এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছিলেন। সেই মামলারই নিষ্পত্তি হয়েছে এবার।
২০২২ সালে বোস্টনে দায়ের করা এই মামলাটি খারিজ করা হয়েছিল। ফেডারেল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক জুডিথ ডিন এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার আদেশ দিয়েছেন যে পুনরায় তাঁদের দাবি নিয়ে এই মামলা করতে পারবেন না। এইভাবেই সেটেলমেন্ট করা হয়েছে। তবে, নিষ্পত্তির শর্তাবলী প্রকাশ করা হয়নি। সামনে এগিয়ে আসার জন্য, নিজেদের করুণ অভিজ্ঞতার বিষয়ে কথা বলার জন্য এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করার জন্য শিক্ষার্থীদের সাহসের প্রশংসা করেছেন তাঁদের আইনজীবীরা। স্যানফোর্ড হেইসলার শার্প বলেছেন, আমরা আনন্দিত যে আমাদের ক্লায়েন্টরা এখন তাঁদের জীবন এবং কর্মজীবনের এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: (জাতীয় পতাকা উত্তোলন কে করবে? বিরোধী নেতাদের মধ্যে হাতাহাতি! ভিডিয়ো করল লোকজন)
কী অভিযোগ ছিল
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল যে ২০১৭ সালের প্রথম দিকে নৃবিজ্ঞান, আফ্রিকান এবং আফ্রিকান আমেরিকান স্টাডিজের অধ্যাপক জন কমরফ একজন ছাত্রীকে বারবার জোরপূর্বক চুম্বন এবং তাঁর গায়েও হাত দিয়েছিলেন। আফ্রিকান দেশে পড়াশোনা করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য অধ্যাপকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। তখনই এমন অনৈতিক কাজ করেছিলেন অধ্যাপক।
আরও পড়ুন: (Tiger attack: জঙ্গল থেকে বেরিয়ে একের পর এক হামলা চালাল বাঘ, জখম ৫, আতঙ্কে বন্ধ করা হল স্কুল)
অন্য দুই জন বলেছেন যে তাঁরা কোমারফের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসকদের কাছে জানানোর পরে, কোমারফ তাঁদের কর্মজীবনকে শেষ করে দেওতার হুমকি দিয়েছিলেন। একজন আবার অভিযুক্ত করেছিলেন যে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক হওয়ার সময় তাঁকে অবাঞ্ছিত যৌন হয়রানি করেছিলেন ওই শিক্ষক।
আরও পড়ুন: (SBI and PNB Ban issue: ১৫ দিনের জন্য SBI, PNB-তে লেনদেন বন্ধের সিদ্ধান্ত! সমাধানের চেষ্টায় ২ ব্যাঙ্ক)
এরপর ছাত্রীরা আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে, ৭৯ বছর বয়সী কোমারফের আইনজীবীরা সেই সময়ে বলেছিলেন যে তিনি কোনও পড়ুয়ার বিরুদ্ধে কখনও হয়রানি বা প্রতিশোধ নেওয়ার বিষয়টি স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেছেন। তিনি এই ছাত্রীদের সহায়তা করার জন্য এবং তাদের কর্মজীবনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ধারাবাহিকভাবে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করেছিলেন। অন্য কিছু নয়। কোমারফও জুলাই মাসে অবসর নেওয়ার সময় বলেছিলেন এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। এগুলো মিথ্যে অপবাদ।