ভারত সরকার সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতই কাথা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে সরকার। এই আবহে জম্মু ও কাশ্মীরের চেনাব নদীর উপর অবস্থিত সালাল ও বাগলিহার বাঁধের মাসিক ফ্লাশিং শুরু করার পরিকল্পনা করেছে। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার পর সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আর এবার কেন্দ্রীয় জল কমিশন সুপারিশ করেছে যে চেনাব নদীর উপর সালাল (৬৯০ মেগাওয়াট) এবং বাগলিহার (৯০০ মেগাওয়াট) বাঁধগুলি এখন থেকে প্রতি মাসে নিয়মিত ফ্লাশ করা উচিত। (আরও পড়ুন: ইরাকি জাহাজে করে ভারতে পাকিস্তানি ক্র⛄ꦺু, ঢুকতেই দিল না বন্দর কর্তৃপক্ষ)
আরও পড়ুন: চেনে বেঁধে রাখ▨া হয়েছিল, মুখ খুললেন আমেরিকায় ধৃত ভারতীয় গবেষক
ফ্লাশিং কী এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
ফ্লাশিং মানে প্রবল স্রোতের মাধ্যমে বাঁধের জলাধারে জমে থাকা বালি, পলি ও মাটি বের করে ফেলা। এই পলি জলাধারের ক্ষম💖তা হ্রাস করে এবং টারবাইনের দক্ষতা হ্রাস করে। যার জেরে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রভাবিত হয়। নিয়মিত ফ্লাশিং জলাধারগুলির স্টোরেজ ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থিতিশীল করে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, মে মাসের গোড়🎶ার দিকে ফ্লাশিং প্রক্রিয়া চলাকালীন সালাল ও বাগলিহার জলাধার থেকে ৭.৫ মিলিয়ন ঘনমিটারেরও বেশি পলি অপসারণ করা হয়েছিল। সালাল ও বাগলিহারে এই প্রথম এই ধরনের সাফাই করা হয়েছে। সালাল বাঁধটি ১৯৮৭ সালে নির্মিত হয়েছিল, বাগলিহার ২০০৮-০৯ সালে নির্মিত হয়েছিল।
সিন্ধু জল চুক্তির আওতায় পাকিস্তান অতীতে বারবার ফ্লাশিং কার্যক্রমে আপত্তি জানিয়েছে। পꦯাকিস্তান যুক্তি দেয় যে ফ্লাশিংয়ের সময় জল ছেড়ে দিলে ভাটির অঞ্চলে প্রবাহ বাড়তে পারে। কিন্তু এখন ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, চুক্তি স্থগিতের পর জল সংক্রান্ত কোনও তথ্য পাকিস্তানের সঙ্গে শেয়ার করা হবে না বা ফ্লাশ করার আগে জানানো দেওয়া হবে না। সরকারি সূত্রের মতে, পাকিস্তানের আপত্তির কারণে থমকে থাকা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলির কাজ এবার দ্রুত শেষ করবে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে পাকাল দুল (১০০০ মেগাওয়াট), কিরু (৬২৪ মেগাওয়াট), কোয়ার (৫৪০ মেগাওয়াট) এবং রাটল (৮৫০ মেগাওয়াট)। এই সমস্ত প্রকল্পগুলি চেনাব নদীর উপর অবস্থিত।