তেলাঙ্গানায় প্রধান বিরোধী দল ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস)-র নেতৃত্ব নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কলভাকুন্তলা চন্দ্রশেখর রাওয়ের পরিবারের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। এখনও পর্য༺ন্ত বিআরএস প্রধান রয়েছেন কেসিআর। কিন্তু তাঁর পরবর্তীতে দলের হাল কে ধরবেন, তা নিয়ে তেলাঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র কেটি রামা রাও এবং কন্যা কে কবিতার মধ্যে কার্যত ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে। বিআরএস নেতারা জানিয়েছেন, আইন পরিষদের সদস্য কে কবিতার সন্দেহ, দাদা কেটি রামা রাও তাঁকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন।
কেসিআর পরিবারের ঘনিষ্ঠ এক দলীয় নেতা বলেন, বর্তমানে কেটিআর বিআরএসের কার্যকরী সভাপতি পদে রয়েছেন। কিন্তু ধীরে-ধীরে তিনি দলের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিতে শুরু করেছেন। কারণ, সম্প্রতি কেসিআর দলের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন না। তাঁর কথায়, 'দলের অন্দরে আলোচনা চলছে যে কেটিআর শীঘ্রই বিআরএস রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব 🌳নিতে পারেন। অন্যদিকে, কেসিআরকে বিআরএস জাতীয় দলের সভাপতি হিসেবে পুনঃনির্বাচন করা হবে, যাতে তিনি আগামী বছরগুলিতে জাতীয় স্তরে আরও বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন।'
এদিকে, গত মঙ্গলবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তথা প্রাক্তন মন্ত্রী টি হরিশ রাও ঘোষণা করেছেন, কেসিআর যদি তাঁকে বিআরএস সভাপতি করেন, তাহলে তিনি কেটিআরের নেতৃত্বে কাজ করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, 'গত দুই দশক ধরে আমি কেসিআরের একজন অনুগত এবং তিনি যে সিদ্ধান্তই নেবেন না কেন আমি তা মেনে নেব।' অপর সিনিয়র বিআরএস নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী ভি শ্রীনিবাস গৌড় বলেছেন, কেটিআর হলেন কেসিআ🌠রের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী। তাঁর কথায়, 'দলের প্রতিটি নেতা এবং কর্মী এটি জানেন। কেটিআর নিঃসন্দেহে একজন দক্ষ নেতা, যাঁর দলীয় কর্মীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।'
অন্যদিকে, রাজনৈতিক ময়দানে পি✤ছিয়ে নেই কে কবিতাও। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সফর করছেন কেসিআর কন্যা। সেখানে গিয়ে ওবিসি এবং মহিলাদের দাবি তুলে ধরছেন। দলের এক নেতা বলেন, ‘এটি স্পষ্ট যে কেটিআরের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর বোন কবিতা। তিনি চান না যে তাঁর বোন দলের মধ্যে বিকল্প ক্ষমতার কেন্দ্র হি🦩সেবে আবির্ভূত হোক।’
গত বছর ১৫ মার্চ দিল্লি আবগা🐼রি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন কে কবিতা। তারপর ২৭ অগস্ট জামিন পান তিনি। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর কয়েক মাস নীরব ছিলে🥀ন তিনি। তারপর ফের সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসেন কবিতা।
১ মে বাসভবনে আয়োজিত মে দিবসে কবিতার বক্তৃতা কেসিআর পরিবারের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্𝔉রকাশ্যে নিয়ে আসে। কে কবিতা বলেন, 'বিআরএস-র শাসনকালে রায়থু বন্ধু প্রকল্পের অধীনে কৃষকদের প্রতি একর জমিতে ১০,০০০ টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছিল। যদি একজন কৃষকের ১০ একর জমি থাকত, তাহলে তিনি ১ লক্ষ টাকা পেতেন। কিন্তু আমরা কৃষি শ্রমিকদের ন্যায়বিচার দিতে ব্যর্থ হয়েছি।' সমাজে এই বৈষম্য দূর করার প্রয়োজন উল্লেখ করে, সামাজিক তেলাঙ্গানা অর্জনের জন্য লড়াই করার প্রতিজ্ঞা করেন কবিতা। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হয় যে, কে কবিতা দলে অন্দরেই বিদ্রোহ করছেন। পরে ১০ মে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কবিতা বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে এই ধরনের নেতিবাচক প্রচারের পিছনে কারা রয়েছেন, সে সম্পর্কে তিনি খুব ভালোভাবে অবগত।