প্রাথমিক কথাবার্তার পর শ্রীলঙ্কাকে ২৯০ কোটি ডলার অর্থসাহায্য করতে সম্মত হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। এই বিষয়ে মুখ খুলল ভারত। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘ভারত শ্রীলঙ্কাকে সহায়তার দাবি তুলে এসেছে অনবরত। কিন্তু দেখা যাক কীভাবে এই বিষয়টা এগিয়ে যায়। ঋণদাতার ইক্যুইটি এবং স্বচ্ছতার বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ।’ অরিন্দম বাগচি আরও বলেন, ‘আমরা এটাও বুঝি যে পরবর্তী অনুমোদনের আইএমএফের মধ্যেই এই প্র♛ক্রিয়াটিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’ প্রসঙ্গত, আইএমএফ-এর ম্যানেজমেন্ট এবং এক্সিকিউটিভ বোর্ডের অনুমোদন পেলেই শ্রীলঙ্কার পকেটে আসবে এই ২৯০ কোটি𒐪 ডলার অর্থ।
এদিকে এবছরের শুরু থেকে শ্রীলঙ্কাকে ৩.৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়েছে ভারত। এর মধ্যে খাদ্য, ไওষুধ এ🦂বং জ্বালানীর মতো জরুরি সামগ্রী ছিল। ক্রেডিট লাইনের মাধ্যমে এই সামগ্রী পাঠানো হলেও ঋণ পরিশোধের বিষয়টি আপাতত স্থগিত রয়েছে। এই আবহে শ্রীলঙ্কারও বক্তব্য, ভারতই শ্রীলঙ্কার কৌশলগত পার্টনার। তবে তা সত্ত্বেও দ্বীপরাষ্ট্রের উপর চিনা প্রভাব রয়েছে এখনও।
ধুকতে থাকা শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিকে চাঙ্গ꧟া করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ করল আইএমএফ। এবং এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাল ভারত। এই ২৯০ কোটি ডলারের প্যাকজের মাধ্যমে দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ঘাটতি এবং চিনা ঋণের বোঝা কিছুটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। আইএমএফ-এর তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শ্রীলঙ্কাকে যে অর্থ সাহায্য দেওয়া কথা ভাবা হচ্ছে, সেই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হল সেদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক স্𝐆থিতিশীলতা বৃদ্ধি করা। পাশাপাশি ঋণের বোঝা কমিয়ে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করাও এই প্যাকেজের লক্ষ্য।’ এই একই সুর শোনা যায় অরিন্দম বাগচির গলাতেও। তবে তিনি বলেন, ‘ঋণদানের প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে।’ এদিকে আইএমএফ-এর বিবৃতিতে শ্রীলঙ্কার শাসন ব্যবস্থার গভীরের দুর্নীতির কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।